ফেব্রুয়ারী ০৯, ২০২১ https://excellentworldbarisal.blogspot.com/
এলার্জি শব্দটির সাথে পরিচিত নন এমন লোক খুব কমই আছেন। এটি একটি গ্রিক শব্দ। এর অর্থ । এর অর্থ হলো পরিবর্তন প্রতিক্রিয়া। চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের ভাষায় এলার্জি হলো শরীরের এক ধরনের পদ্ধতি যার মধ্য দিয়ে শরীরে এক ধরনের প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় এবং সে অনুযায়ী শরীরবৃত্তীয় পরিবর্তন ঘটে। শরীরের ভেতরে যখনই কোনো অসহনীয় পদার্থ। যেমন- এন্টিজেন প্রবেশ করে তখন তাকে শনাক্ত এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অংশ হিসেবে শরীরের সাহয্যকারী টি (T)কোষগুলো উদ্দীপ্ত হয় এবং প্রতিরোধক অ্যান্টিবডি আইজই (IGE) উৎপন্ন হয়। এই প্রতিরোধক অ্যান্টিবডির সাথে একত্রিত হয় শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার এবং উৎপন্ন করে আরো অনেক রাসায়নিক পদার্থ। এরপর শুরু হয় প্রতিক্রিয়া। সর্বশেষ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অংশ হিসেবে বের হয় হিস্টামিন । কোনো কোনো ক্ষেত্রে রাসায়নিক পদার্থটি বহিরাগত অচেনা বস্তুটকে নিস্ক্রিয় এবং নিস্ক্রয় করে আবার অনেক সময় এই ভয়ানক প্রতিক্রিয়ার শরীর নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এক গবেষণায় খো গেছে যে বিশ্বের শিশুদের মধ্যে খাবারের মাধমে এ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার হার আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। গত কয়েক দশকে পশ্চিমা দেশগুলোতে এই অ্যালার্জি প্রবণতা বেড়ে গেছে।
গত কয়েক দশকে পশ্চিমা দেশগুলোতে এই অ্যালার্জি প্রবনতা বেড়ে যাওয়া চোখে পড়ার মত। জরিপে খো গেছে, গ্রামের চাইতে শহরের বাসিন্দাদের মধ্যেই এই অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। আর ব্যস্ত নগরে
কারো খাবার নিয়ে এ ধরণের বাধা নিষেধ সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে বোঝা হতে পারে। অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী বহিরাগত বস্তুগুলোকে অ্যালার্জি উৎপাদক বলা হয়।
Alargi of Human
অ্যালার্জিক রাইনাইটির দুই ধরণেরঃ-
০১. সিজনাল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস:
বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হলে একে সিজনাল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস বলা হয়। উপসর্গগুলো যেমন- ঘন ঘন হাাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং নাসারন্ধ্র বন্ধ হয়ে যাওয়া।
০২. পেরিনিয়াল অ্যালর্জিক রাইনাটিস:
সারা বছর ধরে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হলে একে পেরিনিয়াল অ্যালার্জিক রাইনাটিস বলা হয়। পেরিনিয়াল অ্যালার্জিক রাইনাটিসের উপসর্গগুলো সিজনাল অ্যালার্জিক রাইনাটিসের উপসর্গগুলোর চেয়ে তীব্রতা কম হয়
এবং স্থায়িত্বকাল বেশি হয়।
বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জিঃ
অ্যালার্জির রয়েছে বিচিত্র সব ধরন। যেমন- আর্টিকেরিয়া: আর্টিকেরিয়ার ফলে ত্বকে লালচে ফোলা ফোলা ভাব হয় এবং ভীষণ চুলকানি হয়। ত্বকের গভীর স্থরে হলে মুখ, হাত-পা ফুলে যেতে পারে। আর্টিকেরিয়ার ফলে সৃষ্টি ফোলা অংশগুলো মাত্র কয়েক ঘন্টা স্থায়ী থাকে কিন্তু কখনও কখনও
বারবার হয়।