মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ও সৌন্দর্য্যে সেবায় এবং দেশের বেকার জনগোষ্ঠীর একমাত্র কর্মসংস্থান তৈরি একটি এক্সিলেন্ট ওয়ার্ল্ড প্রতিষ্ঠান।চমৎকার বিশ্ব, অনলাইন আয়ের উৎস, স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য, অনলাইন চাকরি, খণ্ডকালীন কাজ, ডিজিটাল মার্কেটিং, অনলাইন মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, Excellent World, Online income source, health and beauty, Online job, Part time work, Digital marketing, online marketing, Affiliate Marketing,

Health and Beauty

Excellent world

সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

Terminalia bellirica medicines-বহেড়ার ঔষধি গুণাগুণ



বহেড়া এক ধরনের ঔষধি ফল। এর বৈজ্ঞানিক নাম “ Terminalia bellirica ’’ । এই ফলের নাম আরেক নাম বিভিতকি, তবে বহেড়া নামেই পরিচিত। এই গাছের জম্ন ভারতবর্ষে। কথিত আছে, হিন্দু ধর্মের দেবরাজ ইন্দ্র অমৃতের সন্ধানে যখন সমুদ্র মাথন করেছিলেন, সেই সময় এক ফোটা অমৃত পৃথিবীতে পড়ে যায়। আর সেই অমৃতের সন্ধানে যখন সমুদ্র যখন করেছিলেন,  সেই সময়ে এক ফোঁটা অমৃত পৃথিবীর পড়ে যায়। আর সেই অমৃতের ফোঁটা হতেই বহেড়া গাছের জম্ন। বাংলাদেশের বনাঞ্চল ও গ্রামে এই গাছের দেখা মেলে। বহেড়া গাছ 15-25 ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। এর বালক ধূসর ছাই রঙ্গের । পাতা কাঁঠাল পাতার মতো মোটা , লম্বায় প্রায় 5 ইঞ্চি । এর ফুল ডিম্বাকৃতির প্রায় 1 ইঞ্চির মতো লম্বা। কাঁচা পাকা বহেড়া ফলে রঙ সবুজ থাকে। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের ভেতর এর ফল পেকে যায়।

বহেরা গাঠ ও ফল

বহেড়া ফল উপমহাদেশের প্রাচীনতম আয়ুর্বিদিক ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। কথিত আছে, প্রতিদিন বগেড়া ফল ভিজানো এক কাপ পানি খেলে দীর্ঘজীবী হওয়া যায়। বহেড়া বিশেষ ভাবে পরিশোধিত হয়ে এর ফল, বীজ ও বাকল মানুষের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে ও চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। আসুন জেনে নেয়া যাক বহেড়া ফলের ঔষধি গুন গুলো- 

শ্বেতী রোগ- বহেড়ার বিচির শাঁসের তেল বের করে নিয়মিত শ্বেতীর উপর লাগালে অল্প দিনেই গায়ের রঙ স্বাভাবিক হবে।
আমাশয় - রক্ত আমাশয় হলে প্রতিদিন পানির সাথে বহেড়া ফলের বিচি বাদ দিয়ে শুধু খোসা নিয়ে পানি দিয়ে ভালো ভাবে মসৃণ করে বাটুন অকালে চুল পাকা- অনেকেই আছে যাদের অকালে চুল পেকে যায় বহেড়া ফলের বিচি বাদ দিয়ে শুধু মিশিয়ে চেটে খেলে কফের সমস্যা কমে যায়।

অকালে টাক পড়া - যাদের মাথায় অকালে টাক পড়েছে তারা বহেড়ার বিচির শাঁসের অল্প পানিতে মিহি করে বেটে টাকে লাগালে ্উপকার পাওয়া যাবে। ফোলা কমানোর জন্য শরীরের কোন স্থানে ফুলে গেলে বহেড়ার ছাল বেটে একটু গরম করে নিয়ে ফোলা জায়গায় প্রলেপ দিলে ফোলা কমে যাবে। 

EXCELLENT


ত্রিফলাপাউডার

Premium

উপাদান: আমলকি, হরতকি, বহেরা। 


হজমশক্তি বাড়াতে পেটের গোলযোগ দুর করতে অব্যার্থ  ভেষজ খাদ্য.....



কার্যকারিতা:

) পেট পরিষ্কার করে, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজম সমস্যা দূর হয়।
) পুরাতন রক্ত আমাশয় রোগের জন্য তীব্র কার্যকরী।
) রক্ত পরিষ্কার করে র্হাট লিভারকে সুরক্ষা করে।
) কৃমিনাশক প্রতিরোধে বিশেষ কার্যকরী।
) অন্ত্র পরিষ্কার মাধমে, খিঁচুনি কমায়, স্নায়ু দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে।
) পেটের বুদবুদ করা পেটকামড় দিয়ে ব্যাথা করা দূর করে।
) ভিটামিনসিএর অভাব পূরণ করে।
) ডিটাক্সিফাই করে শরীরের বর্জ্য নিষ্কাশন, ব্রণ হোয়াইট হেডস দূরে করে।

# সেবন বিধিঃ
চা চামচ পাউডার দিনে বার সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে মিশিয়ে পান করুন।

যোগাযোগ: - +880-1762102240

রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮

gooseberry herbal medicine-আমলকীর ঔষধি গুণাবলী


আমলকীর ঔষধি গুনাবলী

আমলকী সবারই পরিচিত একটি ফল। এ ছাড়া এটি সকলের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে এবং খুবই পুষ্টিকর।



০১. বাচ্চাদের ঠান্ডা-কাশি প্রতিরোধে এ ফল খুবই উপকারী।


০২. ত্রিফলা অর্থাৎ আমলকী, হরীতকী ও বহেড়ার প্রতিটির সমপরিমাণ গঁড়ার শরবত কোলেষ্টোরল কমাবার মহৌষধ। এক ঔষধ গবেষক দলের মতে আধুনিক যে কোন অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের তুলনায় ত্রিফলা কোলেষ্টোরল কমাবার ক্ষেত্রে অনেক বেশী ফলপ্রসূ। এ গবেষক দলের নেতা হচ্ছেন ইন্ডিয়ান প্রখ্যাত কার্ডওলজিষ্ট মি. পি. ঠাকুর এবং দলে রয়েছেন পাটনা মেডিকেল কলেজের ডাক্তার প্রভাত কুমার সিনহা এবং এম সিং। তাদের মতে দ্রব্যগুনের দিক দিয়ে হরীতকীই সর্বশ্রেষ্ঠ , দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে আমলকী এবং তৃতীয় স্থানে বহেড়া । সম্প্রতি এদের গবেষণাপত্র আমেরিকার একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তাদের মতে ত্রিফলা শুধুমাত্র কোলেষ্টেরলই কমায় না বরং এতে প্লীহা এবং যকৃতেরও বিশেষ উপকার হয়।


০৩.আমলকীর ফল ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ এটি মূত্রবর্ধক, বায়ুনাশকও বিরোচক হিসেবে কাজ করে। এবং যে কোন কারণেই হোক ঘুম না হলে, পেট ফাঁপা বা অম্ল নিরাময়ে , চোখ ওঠা রোগে , পিত্ত বেদনায় , বমি বন্ধ করতে , শ্বেতপ্রদর রোগ হলে , অর্শ , ডায়রিয়া , আমাশয় , রক্তস্বল্পতা , জন্ডিস, ও ত্বকের সমস্যায় কাজ করে। এছাড়া আমলকীর ফুলও ঠান্ডাকারক ও বিরোচক হিসেবে কাজ করে। 


বাংলায় নাম: আমলকি।
ইংরেজী : Indian Gooseberry,
বৈজ্ঞানিক নাম: Embica officinalis Gaertn
পরিবার:  Euphorbiaceae 


EXCELLENT 


ত্রিফলাপাউডার

Premium

হজমশক্তি বাড়াতে ও পেটের গোলযোগ দুর করতে অব্যার্থ  ভেষজ খাদ্য.....


কার্যকারিতা: 


১) পেট পরিষ্কার করে, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজম সমস্যা দূর হয়।
২) পুরাতন রক্ত আমাশয় রোগের জন্য তীব্র কার্যকরী।
৩) রক্ত পরিষ্কার করে র্হাট ও লিভারকে সুরক্ষা করে। 
৪) কৃমিনাশক প্রতিরোধে বিশেষ কার্যকরী।
৫) অন্ত্র পরিষ্কার মাধমে, খিঁচুনি কমায়, স্নায়ু ও দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। 
৬) পেটের বুদবুদ করা ও পেটকামড় দিয়ে ব্যাথা করা দূর করে। 
৭) ভিটামিন “সি” এর অভাব পূরণ করে। 
৮) ডিটাক্সিফাই করে শরীরের বর্জ্য নিষ্কাশন, ব্রণ ও হোয়াইট হেডস দূরে করে। 



# সেবন বিধিঃ 

১ চা চামচ পাউডার দিনে ২ বার সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে মিশিয়ে পান করুন। 

Excellent world Triphala power-এক্সিলেনন্ট ওয়ার্ল্ড ত্রিফলা পাউডার

যোগাযোগঃ +880-1762102240

Ginger Medicine quality- আদা ঔষধ মানের


আদা যে শুধুমাত্র রান্নার স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়ানোর কোনো মসলা জাতীয় কিছু নয় তা এখন আর কারো অজানা নয়। আদার ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে প্রায় সকলেই বেশ ভালোভাবেই অবগত আছেন। শারীরিক নানা সমস্যায় আদা খাওয়ার বিষয়টি সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে বেশ দ্রুত। এমনকি নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাস মুক্তি দিতে পারে মারাত্মক বেশ কিছু রোগ থেকে।


নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাস করেই দেখুন না, শারীরিক অনেক সমস্যার সমাধান পাবেন। আর েএজন্যই আদার গুনাগুন এবং শারীরিক সমস্যা নিরাময়ে আদার ব্যবহার সকলেরই জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরী।






* আদার রস শরীর শীতল করে এবং হার্টের জন্য উপকারী।


* কাশি এবং হাঁপানীর জন্য আদার রসের সাথে মধু মিশিয়ে সেবন করলে বেশ উপশম হয়।


* ঠান্ডায় আদা ভীষণ উপকারী। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল  এজেন্ট, যা শরীরের রোগ-জীবাণুকে ধ্বংস করে। জ্বর জ্বর ভাব, গলাব্যাথা ও মাথাব্যাথা দূর করতে সাহায্যে করে।


* বমি বমি ভাব দূর করতে এর ভূমিকা অপরিহার্য। তাই বমি বমি ভাব হলে কাঁচা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। এতে মুখের স্বাদ বৃদ্ধি পায়।


* অসটিও আর্ধ্রাইটিস - এই অসুখগুলোর সারা শরীরের প্রায় প্রতিটি হাড়ের জয়েন্ট প্রচুর ব্যথা হয়। এই ব্যথা দূর করে আদা। তবে রান্না করার চেয়ে কাঁচা আদার পুষ্টিগুন বেশি।


* মাইগ্রেনের ব্যথা ও ডায়াবেটিস  জনিত কিডনির জটিলতা দূর করে আদা। গর্ভবতী মায়েদের সকালবেলা, বিশেষ করে গর্ভধারণের প্রথম দিকে সকালবেলা শরীর খারাপ লাগে। কাঁচা আদা দূর করবে এ সমস্যা।


* দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গবেষণায় দেখা দেছে, আদার রস দাঁতের মাড়িকে শক্ত করে, দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা জীবাণুকে ধ্বংস করে।


* দেহের কোথাও ক্ষতস্থান থাকলে তা দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে আদা। এতে রয়েছে আ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এজেন্ট, যা যেকোনো কাটাছেড়াঁ , ক্ষতস্থান দ্রুত ভালো করে।


* রক্তের অনুচক্রিকা এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম ঠিক রাখতেও আদা দারুন কার্যকর। মুখের রুচি বাড়াতে ও বদহজম রোধে আদা শুকিয়ে খেলে বাড়াবে হজম শক্তি।


* আমাশয় , জন্ডিস, পেট ফাঁপা রোধে চিবিয়ে বা রস করে খেলে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া যারা গলার চর্চা করেন তাদের গলা পরিষ্কার রাখার জন্য আদা খুবই উপকারী।


* ঠান্ডায় টনসিলাইটিস, মাথাব্যথা, টাইফয়েড জ্বর, নাক দিয়ে পানি পড়া , নাক বন্ধ হওয়া, বস্তুকে দূরে ঠেলে দেয় আদা। ওভারির ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আদা।

বুধবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮

Benefits of black cumin-কালোজিরা উপকারিতা


প্রকৃতির অব্যর্থ প্রতিশেধক

মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের মহৌষধ

সাধারনত কালোজিরা নামে পরিচিত হলেও কালোজিরার আরো কিছু  নাম আছে, যেমন- নাইজেলা, কালো কেওড়া , রোমান করিয়েন্ডার বা রোমান করিয়েন্ডার বা রোমান ধনে, ফিনেল ফ্লাওয়ার, হাব্বাটুসসউডা ও কালঞ্জি ইত্যাদি। কালোজিরার বৈজ্ঞানিক নাম- Nigella Sativa. যে নামেই ডাকা হোকনা কেন এই কারো বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতা অপরিসীম। ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নিধন থেকে শুরু করে শরীরের কোষ ও কলার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে কালোজিরা। 

কালোজিরার অবাক করা ১১টি গুনাগুন


শুধুমাত্র স্বাস্থের জন্যই না কালোজিরা চুল ও ত্বকের জন্যও অনেক উপকারি। প্রত্যেকের রান্নাঘরেই কালোজিরা থাকে যা খাবারকে সুবাসিত করে। আসুন আমরা আজ আর্শ্চয বীজ কালোজিরার উপকারিতা গুলো জেনে নেই।


০১.স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি: এক চা - চামচ পুদিনা পাতার রস বা কমলার রস বা এক কাপ রং চায়ের সাথে এক চা-চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দিনে তিনবার করে নিয়মিত সেব্য। যা দুচিন্তা দূর করে। এছাড়া কালোজিরা মেধার বিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুন হারে। কারোজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিসেপটিক বা অ্যান্টিবায়োটিক। মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধি হয়। 


০২.মাথা ব্যাথা নিরাময়ে: ১/২ চা-চামচ কালোজিরার তেল মাথায় ভালোভাবে লাগাতে হবে এবং চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ দিনে তিনবার করে ২/৩ সপ্তাহ সেব্য।


০৩. সর্দি সারাতে: এক চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধু বা এক কাপ রং চায়ের যাতে মিশিয়ে দৈনিক ৩ বার সেব্য এবং মাথায় ও ঘাড়ে রোগ সেরে না যাওয়া পর্যন্ত মালিশ করতে হবে। এছাড়া এক চা-চামচ কালোজিরার বেটে কপালে প্রলেপ দিন। একই সঙ্গে পাতলা পরিস্কার কাপড়ে কালিজিরা বেঁধে শুকতে থাকুন, শেষ্মা তরল হয়ে ঝরে পড়বে। আরো দ্রুত ফল পেতে বুকে ও পিঠে কালিজিরার তেল মালিশ করুন। 

০৪. বাতের ব্যাথা দূরীকরণে: আক্রান্ত স্থানে ধুয়ে পরিষ্কার করে তাতে মালিশ করে; এক চা-চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে সমপরিমাণ কালোজিরার তেল বুকে নিয়মিত মালিশ করতে হবে। 

০৫. বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ সারতে: আক্রান্ত স্থান ধুয়ে পরিস্কার করে তাতে মালিশ করে; এক চা-চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে সমপরিমান কালোজিরার তেল সমপরিমান মধু বা এককাপ রং চায়ের সাথেদৈনিক ৩ বার করে ২/৩ সপ্তাহ সেব্য।

০৬.হার্টের বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে: এক চা-চামচ জিরার তেল সহ এক কাপ দুধ খেয়ে দৈনিক ২ বার করে ৪/৫ সপ্তাহ সেব্য এবং শুধু কারোজিরার তেল বুকে নিয়মিত মালিশ করতে হবে।

০৭. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে রাখতে: প্রতিদিন সকালে রসুনের দুটি কোষ চিবিয়ে খেয়ে এবং সমস্ত শরীরে কালোজিরার তেল মালিশ করে সূর্যের তাপে কমপক্ষে আধাঘন্টা অবস্থান করতে হবে  এবং এক চা-চামচ কালোজিরার তেল বহুমুত্র রোগীদের রক্তের শর্করার মাত্র কমিয়ে দেয় এবং নিম্ন রক্তচাপকে বৃদ্ধি করে ও উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাস করে।


০৮.অর্শ রোগ নিরাময়ে: এক চা-চামচ মাখন ও সমপরিমাণ তেল চূর্ন / তিলের তেল, এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সহ প্রতিদিন খালি পেটে ৩/৪ সপ্তাহ সেবা । 
০৯. শ্বাস কষ্ট বা হাঁপানি রোগ সারাতে: যারা হাঁপানী বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের জন্য কালোজিরা অনেক বেশি উপকারী প্রতিদিন কালোজিরার ভর্তা রাখুন খাদ্য তালিকায়। কালোজিরার হাঁপানি বা শ্বাস কষ্টজনিত সমস্যা উপশম হবে। এছাড়া এক কাপ চা-চামচ কালোজিরার তেল, এক কাপ দুধ বা রং চায়ের সাথে দৈনিক ৩ বার করে নিয়মিত সেব। 

১০. ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে: ডায়াবেটিকদের রোগ উপশমে বেশ কাজে লাগে কালিজিরা। এক চিমটি পরিমাণ কালিজিরা এক গ্লাস পানির সঙ্গে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেয়ে দেখুন, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়া এক কাপ চা-চামচ কালোজিরার তেল, এক কাপ রং চা বা গরম ভাতের সাথে মিশিয়ে দৈনিক ২ বার করে নিয়মিত সেব্য। যা ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে একশত ভাগ ফলপ্রসূ।


এক্সিলেন্ট

কালোজিরা তেল 

প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত একটি আশ্চর্য তেল


জ্বর, সর্দি, কফ, কাশ, ব্রংকাইটিস, পেটব্যথা, বদহজম, বমি , বাত, স্তনদুগ্ধ স্বল্পতা, একজিমা, কাটাছেঁড়া, ও সাধারণ ব্যথা দুর করে। 


উপাদানঃ কালোজিরা।


১. হযরত মুহাম্মদ (সা:) বলেন, “ কালোজিরায় মৃত্যূ ছাড়া সকল রোগের নিরাময় রয়েছে। 


২. নাইজেলোন, থাইমোকনোন ও স্থায়ী ফ্যাটি এসিড, লিনোলিক এসিড, অলিক এসিড, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রণ, জিংক, ম্যাগনেমিয়াম, সেলেনিয়াম, ভিটামিন এ, বি, বি ২ নিয়াসিন ফসফরাস, কার্বোহাইড্রেট, ক্যান্সার প্রতিরোধক কেরোটিন ও শক্তিশালী হরমোন বিদ্যমান। 


৩. অ্যান্টি-বায়োটিক ও সেপটিক মস্তিকের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি করে িএবং জিহবা , দাঁতের মাড়ির জীবাণু ধ্বংস। 


৪. অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও মাইকেটিক বোনম্যারা ও প্রতিরক্ষা কোষগুলোকে উত্তেজিত করে এবং ইন্টারফেরন বৃদ্ধি করে দীর্ঘ দিনের রিউমেটিক এবং পিঠের ব্যাথা কমায়। 


৫. সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, অনিয়মিত মাসিক সারাতে, মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে, গ্যাষ্ট্রিক, আমাশয়, জন্ডিস, ঘুমের সমস্যা, চুলের পুষ্টি বৃদ্ধি করে চুল পড়া রোধ করে। 


৬. হার্টের সমস্যা, ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রন, অর্শ্বোরোগ, ডায়াবেটিকস, চর্মরোগ, যৌন রোগের মহাঔষোধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। 


৭. আফলাটক্সিন বিষ ধ্বংস করে, লিভার ক্যান্সারের ঝুকিঁ কমায়। 


৮. টিউমার বৃদ্ধি প্রতিহত করে ও শরীরে ক্যান্সার উৎপাদন ফ্রি রেডিকেল অপসারিত করে। 


৯. মাত্রাতিরিক্ত পেশাব প্রতিরোধ, মূত্রথলির পাথর ইত্যাদির জন্য বিশেষ কার্যকরী।


১০. শিশুর দৈহিক , মানসিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, হজমশক্তি বৃদ্ধি ও পেট ফাঁপাভাব দূর করে। 


১১. কালোজিরায় ২১% আমিষ, ৩৮ % শর্করা, ৩৫ % ভেষজ তেল ও চর্বি বিদ্যমান। 

Excellent world Nigella Oil

Contract: +880-1762102240

মঙ্গলবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

The rules for eating szina leaf-সজিনা পাতা খাওয়ার নিয়ম



সজিনা 300 প্রকার ব্যাধির প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত :-

শরীরের প্রয়োজনীয় প্রায় সব ভিটামিনের সাথে আবশ্যকীয় প্রায় সবগুলি এমাইনো এসিড সজিনা পাতায় বিদ্যমান বলে বিজ্ঞানীরা একে “পুষ্টির ডিনামাইট” হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। এ্যানিমিয়া, জয়েন্ট পেইন, ক্যান্সার, কোষ্টকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, হার্ড পেইন, ব্লাড পেসার, কিডনিতে পাথর, মায়ের দুধ বৃদ্ধিকরাসহ বিভিন্ন ঔষধি গুনাগুন রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞ FNSK জানিয়েছেন।পুরুষের যৌনশক্তি বৃদ্ধি দীর্ঘ স্থায়ী করে, মেয়েদের বিলুপ্ত যৌন বাসনাকে উজ্জীবিত ও দীর্ঘায়িত করে। সজিনা গাছকে প্রচলিত বিভিন্ন খাদ্য প্রজাতির মধ্যে সর্বোচ্চ পুষ্টিমান সম্পন্ন উদ্ভিদ হিসাবে চিহিৃত করা হয়েছে। বহুবিধ খাদ্যগুণ সম্পন্ন হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকায় সজিনা গাছকে”যাদূর গাছ “ হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়।

সজিনার পাতা।

গুনাগুন01. শরীর ব্যথা: শরীরের কোন স্থানে ব্যথা হলে বা ফুলে গেলে সজিনার শিকড় বেটে পলেপ দিলে ব্যথা এবং ফোলা সেরে যায়।
02. কান ব্যথা : শেকড়ের রস কানে দিলে কানের ব্যথা ভাল হয়ে যায়।
03. মাথা ব্যথা: সজিনার আঠা দুধের ষাথে খেলে মুত্রপাথরী থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
05. হাপানী: ফুলের রস হাপানী রোগে বিশেষ উপকারী।
06. শিশুদের পেটের গ্যাস: সজিনা পাতার রসের সাথে লবণ মিশিয়ে খেতে দিলে বাচ্চাদের পেটে জমা গ্যাস দূর হয়।
07. কুকুরের কামড়ে: সজিনা পাতা পেষণ করে তাতে রসুন, হলুদ , লবণ ও গোল মরিচ মিশিয়ে সেবন করলে কুকুরের বিষ নষ্ট হয়।
08. জ্বর, সর্দি: সজিনা পাতার শাক খেলে জ্বর ও যন্ত্রণাদায়ক সর্দি আরোগ্য হয়।
09. গর্ভপাত কারক: সজিনা গর্ভপাত কারক। সজিনার ছাল গর্ভাশরের মুখে প্রবেশ করালে গর্ভাশয়ের মুখ প্রসারিত হয়ে যায় এবং গর্ভপাত ঘটে।
(সর্তকাতা: এই ঔষধ নিদির্ষ্টি মাত্রায় সতর্কতার সাথে সেবন ও ব্যবহার করতে হয়ে)।

>> সজিনার অন্যান্ন ব্যবহার:
সজিনা আমাদের দেশে একটি বহুল পরিচিত বৃক্ষ, যার কাচাঁ লম্বা ফল সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। সজিনা পাতা শাকের মতো রান্না করে আহারের সময় অল্প পরিমানে খেলে বল বৃদ্ধি পায় ও ক্ষুধা বাড়ে। .পাতা কেটে ফোড়া বা টিউমারে দিলে উপকার পাওয়া যায়। উত্তরবঙ্গে সজিনা পাতাকে শাক হিসেবে খাওয়া হয়। এতে তাদের শ্রমজনিত ক্লান্তি, শরীরের ব্যথা ইত্যাদি দূর হয়। 


সজিনা ফুল শাকের মতো রান্না করে বসন্তকালে খেলে বসন্তের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ হয়। এছাড়া সর্দি, কাশিতে শোথে, প্লীহা ও যকৃতের কার্যকারিতা কমে গেলে িএবং কৃমিনাশক হিসেবে সজিনা ব্যবহার করা যায়। 

বিজ্ঞানীদের মতে, সজিনা ডাঁটা অ্যামাইনো এসিডসমৃদ্ধ , যা দেহের পাশাপাশি বাতের জন্যও কুব উপকারী । সজিনা বীজের তেল আমাদের দেশে তেমন পাওয়া যায় না। একে “বেন অয়েল” বলে। এটি ঘড়ি মেরামতের কাজে লাগে। বাতের ব্যথায় তা ভালো কাজ দেয়। কুষ্ঠ রোগে বীজের তেল অথবা বীজের তেলের অভাবে বীজ বেটে প্রলেপ দিলে উপকার হয়। সজিনা মূল ও বীজ সাপে কামড়ানোর চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।

তাছাড়া মূলের ছালের প্রলেপে দাদ উপশম হয়। বাংলাদেশে এ নিয়ে তেমন গবেষণা না হলেও বিশ্বের বহু দেশে নানা রকমের গবেষণা হয়েছে; বিশেষ করে এ গাছ হরমোন বর্ধক ঔষধি গুনসম্পন্ন , কাগজ তৈরি ইত্যাদি বিষয় ছাড়াও প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেশে এটি সবজির পাশাপাশি ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এর পাতা শাক হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে শারীরিক শক্তি ও আহারের রুচিবর্ধক হয়। এর মধ্যে আছে ভিটামিন এ, বি, সি, নিকোটিনিক এসিড, প্রোটিন ও চর্বি জাতীয় পদার্থ, কার্বোহাইড্রেট ইত্যাদি। ভারতীয়রা এটির স্যুপ খেয়ে থাকে। এ সময় ঋতু পরিবর্তনের কারণে আমাদের অনেকেরই মুখে স্বাদ থাকে না। আর এ স্বাদকে ফিরিয়ে আনতে সজিনার জুড়ি নেই। সজিনা গাছটির প্রতি আমাদের তেমন আগ্রহ না থাকলেও এর ডাঁটা সব মানুষই পছন্দ কর্ েআমরা জানি, সবজি মাত্রই পুষ্টিকর খাদ্য। 


গ্যানো মরিঙ্গা

ফুড ক্যাপসুল 


উপাদান: রেড মাশরুম ও মরিঙ্গা থেকে সংগৃহীত। 

কার্যকারিতা: 

১) ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, প্রোটিন ও খনিজ , অ্যামিনো এসিডের উৎস বিদ্যামান।
গ্যানো মরিঙ্গা


২) ডায়াবেটিস, শ্বাসযেন্ত্রের সমস্যা, কার্ডিওভাস কুলার রোগ, আর্থ্রাইটিস এবং স্থুলতার মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের প্রতিকার সম্ভাব।

৩) ভিটামিন ই, সি বিষন্নতা, মানসিক চাপ ও স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সহয়তা করে।

৪) লিভারের প্রোটিন সমৃদ্ধি করে, নষ্ট হয়ে যাওয়া প্রতিহত করে।

৫) অ্যান্টি-ব্যাক্টরিয়াল, ফাংঙ্গাল মুত্রণালী , রক্ত ও ছত্রাকের সংক্রামন থেকে প্রতিহত করে।

৬) রক্তের ক্ষত নিরাময় করে , দ্রুত রক্তপাত বন্ধ করে এবং জখমের ঘা শুকাতে বিশেষ কার্যকরী।

৭) ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, রক্তসল্পতা, বাতের ব্যাথা, (রিউম্যাটিজম), হজমক্রিয়ার সমস্যা, এলার্জি, হাঁপানি, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ব্যাথা, ডায়ারিয়া, মৃগীরোগ, আলসার, দীর্ঘমেয়াদি মাথাব্যাথা, হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির পাথর, থাইরয়েডের রোগ , ব্যাকটেরিয়া, ফুসকা ভাইরাল রোগ থেকে নিরাময়ে সহায়তা করে।

৮) প্রোটিনের পরিমাণ দইয়ের চেয়ে ০২ গুণ বেশি বিদ্যমান।

৯) গাজর থেকে ০৪ গুণ বেশি ভিটামিন এ, কলার চেয়ে ০৩ গুণ বেশি পটাশিয়াম বিদ্যামান।

১০) গরুর দুধের চেয়ে ০৪ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম, কমলার চেয়ে ০৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি বিদ্যমান।

১১) ভিটামিন বি, বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬, বি১২, ডি, ই, কে, ফলিক এসিড বিদ্যমান।

১২) ক্যালসিয়াম, ক্লোরাইড, ক্রোমিয়াম, কপার, ফ্লোরাইন, আয়রণ, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, সেলেনিয়াম, সালফার, জিংক।

১৩) ৩৬ প্রকারের অ্যান্টি-ইনফ্লামেটোরি কম্পাউন্ডস এবং ৪৬ প্রকারের এ্যান্টি-অক্সিডেন্টস রয়েছে।

সেবন বিধিঃ 


সকালে নাস্তার পর ১/২ (আধা) চামচ থেকে পাউডার ১ গ্লাস বিশুদ্ধ পানিতে মিশিয়ে সেব্য। রাতে খাবার পর ১ গ্লাস হালকা গরম দুধ, চা / মধু অথবা পানির সাথে মিশিয়ে রয়েছে।

Contact: +880-1762102240

Mint leaves of mint leaves-পুদিনা পাতার গুনাগুন


পুদিনা একটি সাধারণ আগাছা ধরনের গাছ। কান্ড ও পাতা বেশ নরম। কান্ডের রঙ বেগুনি, পাতার রঙ সবুজ। ছোট গুল্ম জাতীয় এই গাছের পাতা ডিম্বাকার, পাতার কিনারা খাজকাচা ও সুগন্ধীযুক্ত হয়। পাতা কিচুটা রোমশ ও মিন্টের তীব্র গন্ধযুক্ত। পুদিনা পাতার মূল, পাতা , কান্ড সহ সমগ্র গাছই ঔষধীগুনে পরিপূর্ণ। বিশেবর অনেক দেশেই পুদিনার গাছ জম্নে। এর পাতা সুগন্ধি হিসাবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়।
অন্যান্য স্থানীয় নামঃ Mint, Nana.
বৈজ্ঞানিক নামঃ Mentha, Spicata.
এটি Lamiaceae.

পুদিনা পাতা রস


পুদিনা পাতার গুনাগুণ:

1। গরমে ত্বকের জ্বালাপোড়া ও ফুসকুরি সমস্যায় কয়েকটি পুদিনার পাতা চটকে গোসলের পানিতে মিশিয়ে গোসল করলে ভালো কাজ হয়।
2। মুখের দুর্গন্ধ দুর করতে পুদিনা পাতা পানির সাথে মিশিয়ে কুলি করুন উপকার পাবেন।
3। পুদিনা পাতা হজম শক্তি বাড়ায়, মুখের অরুচি ও গ্রাসের সমস্যা দুর করে, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও শরীর ঠান্ডা রাখে।
4। পুদিনা ত্বকের যে কোনো সংক্রমণকে ঠেকাতে অ্যান্ডিবায়োটিকের কাজ করে। শুকনো পুদিনা পাতা ফুটিয়ে পুদিনার পানি তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিন। এক বালতি পানিতে দশ থেকে পনেরো চামচ পুদিনার পানি মিশিয়ে গোসল করুন। এর ফলে গরমকালে শরীরে ব্যাকটেরিয়া জনিত বিশ্রী দুর্গন্ধের হাত থেকে রেহাই পাবেন, কেননা পুদিনার অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট গুন অতুলনীয়। ঘামাচি, অ্যালার্জিও হবে না।
5। পুদিনা পাতার রস তাৎক্ষনিক ব্যথানাশক উপাদান হিসেবে কাজ করে। পুদিনা পাতার রস চামড়ার ভেতর দিয়ে নার্ভে শান্ত করতে সহায়তা করে। তাই মাথা ব্যাখা বা জয়েন্টে উপশমে পুদিনা পাতা ব্যবহার করা যায়।মাথা ব্যথা হলে পুদিনা পাতার চা পান করতে পারেন অথবা তাজা কিছু পুদনিা পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। জয়েন্টে ব্যথায় পুদিনা পাতা বেটে প্রলেপ দিতে পারেন।
6। পুদিনা পাতার চা শরীরের ব্যাথা দুর করতে খুবিই উপকারি।
7। মাইগ্রেনের ব্যাথা দুর করতে নাকের কাছে টাটকা পুদিনা পাতা ধরুন। এর গন্ধ মাথাব্যাথা সারতে খুবই উপকারি।
8। কোন ব্যাক্তি হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে গেলে তার নাকের কাছে পুদিনা পাতা ধরুন। সেন্স ফিরে আসবে।
9। অনবরত হেচকি উঠলে পুদিনা পাতার সাথে গোলমরিচ পিষে ছেকে নিয়ে রসটুকু পান করুন। কিছিুক্ষনের মধ্যেই হেচকি বন্ধ হয়ে যাবে।
10। গোলাপ, পুদিনা , আমলা, বাঁধাকপি,  ও শশার নির্যাস একসঙ্গে মিশিয়ে টোনার তৈরি করে মুখে লাগালে তা ত্বককে মসৃণ করে তোলে ।
11। পুদিনা পাতায় রয়েছে অ্যান্টিাঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টসের চমৎকারী গুনাগুন যা পেটের যে কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারে খৃব দ্রুত । যারা হজমের সমস্যা এবং পেটের ব্যাথা বিংবা পেটের অন্যান্য সমস্যায় ভুগে থাকেন তারা খাবার পর এককাপ পুদিনা পাতার চা খাওয়ার অভ্যাস করুন। 6 / 7 টি তাজা পুদিনা পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে খুব সহজে পুদিনা পাতার চা তৈরি করতে পারেন ঘরে।
12। পুদিনাপাতা পুড়িয়ে ছাই দিয়ে মাজন বানিয়ে দাঁত মাজলে মাড়ি থাকবে সুস্থ, দাঁত হবে শক্ত ও মজবুত। 

13। দীর্ঘদিন রোগে ভুগলে বা কোষ্ঠ্যকাঠিন্য থাকলে অনেক সময় অরুচি হয়। এক্ষত্রে পুদিনা পাতার রস ২চামচ , কাগজি লেবুর রস 8-10 ফোটা , লবণ হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে সকাল বিকাল 2 বেলা খান। এভাবে 4-5 দিন খেলে অরচি দুর হয়ে যাবে। 

14। তাৎক্ষনিক ভাবে ক্লান্তি দুর করতে পুদিনা পাতার রস ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে খাবেন। ক্লান্তি নিমিষেই দুর হয়ে যাবে। 

15।কফ দুর করতে পুদিনা পাতার রস, তুলসী পাতার রস, আদার রস ও মধু একসাথে মিশিয়ে খান। পুরোনো কফ দুর করতেও এই মিশ্রণ অতুলনীয়।

16। সুস্থ হার্টের জন্য পুদিনা পাতা অনেক উপকারী। এটি রক্তে কলেস্টরেল জমতে বাধা প্রদান করে। ফলে হার্ট থাকে সুস্থ। 

17। যেকোন কারণে পেটে গ্যাস জমে গেলে পুদিনা পাতা কার্যকরী ভুমিকা পালন করে। পুদিনার রস ২ চা চামচ , সামান্য লবন, কাগজী লেবুর রস 8/10 ফোটাঁ , হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে সারাদিন 2-3 বার খেলে পেটে গ্যাস ভাব কমে আসে। 

18। পিত্তে শেষ্মার জ্বর, অম্লপিত্ত, আমাশা, অজীর্ণ , উদরশূল , প্রভৃতির কারনে অনেক সময় আমাদের বমি বমি ভাব আসে। এসময় পুদিনার শরবতের সাথে এক চা চামচ তেতুঁল মাড় ও চিনি মিশিয়ে খেলে বমিভাব দূর হয়ে যায়।

19। পুদিনা পাতার রস উচ্চ রক্তপাপ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত পুদিনা পাতার রস খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন খাকে। 


EXCELLENT

পুদিনা চা 


শ্বাস কষ্ট, কফ-কাশি দুর করতে ধুমপানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত পান করুনএক্সিলেন্ট পুদিনা চা। 

উপাদান:               পুদিনা, স্টেভিয়া, আদা, লেমন, ও অন্যান্য উপকরন। 
কার্যকারিতা: 
০১. কোলস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ক্লান্তি নিবারণ হয়। 
০২. মাথা, শরীর , পেটের ব্যাথা উপশম করে, শরীরের চামড়াকে টানটান করে সতেজ রাখে।
০৩. পলিফেনন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফ্লোরাইড থাকে দাঁতের ক্ষয়রোধ ও মাড়ির সমস্যা দূর করে। 
০৪. মেন্থল শীতকারীন ঠান্ডজনিত কফ-কাশি বের হওয়া ও এডিনো ভাইরাস বিস্তার রোধ করে। 
০৫. মুখের স্বাদ বৃদ্ধি ও ত্বকের ব্রণ দূর করতে সহায়তা করে। 
০৬. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ইনফ্লামেটরি ত্বককে শীতল করে চামড়ার চুলকানি ও নিঃশ্বাসের র্দূগন্ধ দূর করে। 
০৭. অ্যান্টি এইজং টক্সিন দূর করে, নারীদের ওভারিতে ক্যান্সার কোষগুলো ধ্বংস করে। 
০৮. পুদিনা মেয়েদের রক্তশূন্যতা পূরণ করে। 

               

চা তৈরির নিয়মঃ ফুটন্ত গরম ১ কাপ পানির মধ্যে ১ টি ব্যাগ রেখে ১-২ মিনিট নাড়ানাড়া করুন। প্রয়োজনমত চিনি অথবা মধু মিশান। টি ব্যাগ যত বেশী সময় গরম পানির কাপে থাকবে ততবেশী গুণাগুণ বৃদ্ধি পাবে। 




পুদিনা চা- Mint tea

Contract: +880-1762102240

সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

Alovers jal- অ্যালোভেরা- ঘৃতকুমারী রস


প্রকৃতির এক অন্যন্ন উপহার


ঘৃতকুমারী বহুজীবী ভেষজ উদ্ভিদ এবং দেখতে অনেকটা আনারস গাছের মত।এর পাতাগুলি পুরু, দুধারে করাতের মত কাটাঁ এবং ভেতরে লালার মত পিচ্ছিল শাঁস থাক্ েসবরকম  জমিতেই ঘৃতকুমারী চাষ সম্ভব, তবে দোঁআশ ও অল্প বালি মিশ্রিত মাটিতে গাছের বৃদ্ধি ভালো হয়। নিয়মিত জলসেচের দরকার হলেও গাছের গোড়ায় যাতে জল না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সাধারণতঃ শেকড় থেকে গজানো ডাল বা ‘শাখা’ - এর সাহায্যে এই গাছের বংশবৃদ্ধি হয়। 

এ্যালোভেরা

এই ঘৃতকুমারীতে রয়েছে 20 রকমের খনিজ।মানবদেহের জন্য যে 22 টা এ এমিনো অ্যাসিড প্রয়োজন এরত বিদ্যমান। এছাড়াও ভিটামিন অ, ই1, ই2, ই6, ই12 ঈ, এবং ঊ রয়েছে।

ব্যবহার: ঘৃতকুমারীর পাতা ও শাঁস ব্যবহার করা হয়। এর পাতার রস যকৃতের জন্য উপকারী।

অ্যালোভরা বা ঘৃতকুমারী রসের কয়েকটি গুণ: 

* নিয়মিত ঘৃতকুমারীর রস পানে পরিপাক প্রক্রিয়া সহজ হয়। ফলে দেহের পরিপাক প্রক্রিয়া সহজ হয়। ফলে দেহের পরিপাকতন্ত্র সতেজ থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। তাছাড়া ডায়রিয়া সারাতেও ঘৃতকুমারীর দারুন কাজ করে।
* নিয়মিত ঘৃতকুমারীর রস সেবন শরীরের শক্তি যোগানসহ ওজনকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
* দেহে সাদা ব্লাড সেল গঠন করে যা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে।
* দেহ থেকে ক্ষতিকর পদার্থ অপসারণে ঘৃতকুমারীর রস একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক ঔষধির কাজ করে।
*  ঘৃতকুমারীর রস হাড়ের সন্ধিকে সহজ করে এবং দেহে নতুন কোষ তৈরি করে। এছাড়া হাড় ও মাংশপেশির জোড়াগুলোকে শক্তিশালী করে। সেই সঙ্ঘে শরীরের বিভিন্ন প্রদাহ প্রশমনেও কাজ করে।
* ঘৃতকুমারী পাতার রস ত্বকের উপর লাগালে ত্বকের উজ্জলতা বাড়ে এবং রোদে পোড়া ত্বকের ক্ষেত্রেও উপকারী।
* অনিয়মিত এবং অস্বাভাবিক ঋতু কে নিয়মিত করতে বেশ উপকারী।
* কোন ভারি কিছু তূলতে গেলে বা উছু-নিচুতে পা ফেলতে কোমরে ফিক ব্যাথা হলে ঘৃতকুমারীর শাঁস মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।

এক্সিলেন্ট 
অ্যালোভরা জেল 

উপাদানঃ 

০১. নিয়মিত ভাবে পরিমিত ব্যবহারে চুলপড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোতে সহায়তা করে। 

০২. জেল পায়ের গোড়ালি ফাঁটা কমায়। 

০৩. চুলের বৃদ্ধি ঘটায়, ত্বকের লালচে ভাব দূর করে। 

০৪. অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূরে করে উজ্জ্বল ও কোমল করে। 

০৫. ময়েশ্চেরাইজারের কাজ করে। পানির চেয়ে ৩-৪ গুণ দ্রুত এবং প্রায় ০৭ গুণ বেশি ত্বকের              গভীরতায় পৌছায়। 

০৬. ত্বকের যে কোন দাগের স্থানে ব্যবহার করলে ভাল ফলাফল পাওয়া সম্ভব। 

০৭. মেছতা দূর করতে ব্যবহার করা যায়। 

০৮. পোড়া জায়গায় অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা যায়।

০৯. চোখের নীচের বলিরেখা সহ কালো দাগ দূর করে। 








ক্রয়ের জন্য যোগাযোগঃ 

+880-1762102240

                                                                                                                                                           

21st Century tree nim - World Health Organization-একুশ শতকের বৃক্ষ নিম- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা


এক্সিলেন্ট 

নিম তেল

উকুন নাশ করে, চুল পড়া বন্ধ করে, চুলের পুষ্টি যোগায়, খুশকি দুর করে, চুল কালো ও উজ্জ্বল করে, মাথা ঠান্ডা রাখে। অনিদ্রা দুর করে। 

উপাদানঃ-
                 নিম তেল, তিলের তেল, সূর্যমুখী তেল, মিনারেল অয়েল, পারমিউম ইত্যাদি। 

কার্যকারিতাঃ

০১. অ্যান্টি ফাংগাল ও ব্যাকটেরিয়াল ক্যানডিডা ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে, উঁকুন, খুশকি, ফুসকুড়ি হওয়া,ইনফেকশেন থেকে রক্ষা করে।


০২. অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্ত সঞ্চলন বাড়ায় ও চুলের পি এইচ ভারসাম্য, চুল পড়া ও ভাঙা  প্রতিরোধ এবং চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। 


০৩. উচ্চ মাত্রায় ফ্যাটি অ্যাসিড চুলকে কান্ডিশনিং, নরম ও ফুরফুরে করে। 


০৪. নিম্বিডল ও জেডুনিন ফাঙ্গাস, ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে অ্যাকজিমা প্রতিকার ও প্রতিরোধ করে,মাথার ও ত্বকের চুলকানি কমায় এবং অতিরিক্ত মেলানিন তৈরিতে বাধা দেয়। 


০৫. শরীরের খুব দূর্গন্ধ , স্কিন ইরিটেশন ও চুলকানি প্রতিরোধে খুব ভাল ভূমিকা রাখে। 


০৬. অ্যান্টি মাক্রোবাইয়াল উপাদান ক্ষত নিরাময়ে দ্রুত কাজ করবে। 


০৭. ট্রাইগ্লিসারাইড, ট্রাইটার পিনয়েড, ভিটামিন ই শরীর ও চামড়ার নিচে , বাত মাথা ব্যাথা ম্যাসাজ বেশ উপকারী। 

০৮. ভিটামিন ই ও বি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়া, ফসফরাস ও প্রোটিন নতুন চুল গজায়, গোড়া শক্ত হয়, রুক্ষতা সমস্যা দূর হয়।

০৯. স্কীন ক্যান্সার নিরাময়ে নিম তেলের ভূমিকা অতুলনীয়। 


১০. সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি এবং DNA এর ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করে। 







যোগাযোগঃ-
+880-1762102240








সূত্র: Excellent world




নিম এর বৈজ্ঞানিক নামঃ AZADIRACHTA INDICA . 



নিম একটি ঔষধি গাছ যার ডাল, পাতা, রস সবই কাজে লাগে। নিম একটি বহুবর্ষজীবী ও চিরহরিৎ বৃক্ষ। আকৃতিতে 40-50 ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। এর কান্ডের ব্যাস 20-30 ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে। ডালের চারদিকে 10-12 ইঞ্চি যৌগিক পত্র জন্মে। পাতা কাস্তের মত বাকানো থাকে এবং পাতার কিনারায় 10-17 টি করে খাঁজ যুক্ত অংশ থাকে। পাতা 2.5-4 ইঞ্চি লম্বা হয়। নিম গাছে এক ধরনের ফল হয়।

নিম গাছ। 

আঙ্গুরের মত দেখতে এই ফলের একটিই বীজ থাকে। জুন-জুলাইতে ফল পাকে এবং ফল তেতো স্বাদের হয়। ভারত এবং বাংলাদেশের প্রায় সবত্রই নিম গাছ জম্নে। প্রাপ্ত বয়স্ক হতে সময় লাগে 10 বছর । নিম গাছ সাধারণত উষ্ণ আবহাওয়া প্রদান অঞ্চলে ভাল হয়। মাটির পিও এই 6.2-8.5 এবং বৃষ্টিপাত 18-46 ইঞ্চি ও 120 ফারেনহাইট তাপমাত্রা নিম গাচের জন্য উপযোগী। নিমের পাতা থেকে বর্তমানে প্রসাধনী তৈরি হচ্ছে। কৃমি নাশক হিসাবে নিমের রস খুবই কার্যকারী। নিমের কাঠ খুবই শক্ত। এই কাঠে কখনও গুনে ধরে না। পোকা বাসা বাঁধে না। উপপোকা থেতে পারে না। এই কারণে নিম কাঠের আসবাবপত্রও বর্তমানে তৈরি করা হচ্ছে। এর উৎপাদন ও প্রসারকে উৎসাহ এবং অন্যায়ভাবে নিম গাছ ধ্বংস করাকে নিরুৎসাহিত করছে। এছাড়া প্রাচীনকাল থেকেই বাদ্যযন্ত্র বানানোর জন্য কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। নিমের এই গুনাগুনের কথা বিবেচনা করেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে “একুশ শতকের বৃক্ষ” বলে ঘোষনা করছে।


নিম পাতার বাট

ঔষধি গুনাগুন: বিশ্বব্যাপী নিম গাছ,  গাছের পাতা, শিকড় , নিম ফল ও বাকল ওষুধের কাঁচামাল হিসাবে পরিচিত। বর্তমান বিশ্বে নিমের কদর তা কিন্তু এর অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহারের জন্য। নিম চিকিৎসায় ব্যথামুক্তি ও জ্বর কমাতে , জম্ন নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়।
ব্যবহার: কফজনিত বুকের ব্যথা: অনেক সময় কুকে কফ জমে বুক ব্যথা করে। এ জন্য 30 ফোটাঁ নিম পাতার রস সামান্য গরম পানিতে মিশিয়ে দিনে 3/4 বার খেলে বুকের ব্যথা কমবে। গর্ভবতী, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য এই ঔষধটি নিষেধ।


কৃমি: পেটে কৃমি হলে শিশুরা রোগা হয়ে যায়। পেট বড় হয়। চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে যায়। এই জন্য 50 মিলিগ্রাম পরিমান নিম গাছের মূলের ছালের গুড়ো দিনে 3বার সামান্য গরম পানিসহ খেতে হবে।
উকুন নাশ: নিমের পাতা বেটে হালকা করে মাথায় লাগিয়ে ঘন্টা খানেক পরে মাথা ধুয়ে ফেললে 2/3 দিনের মধ্যে উকুন মরে যায়।
অজীর্ণ: অনেকদিন ধরে পেটের অসুখ, পাতলা পায়খানা হলে 30 ফোঁটা নিম পাতার রস অর্ধেক কাপ পানির সঙ্গে মিশিয়ে সকাল-বিকাল খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়।
খোস পাচড়া: নিম পাতা সিদ্ধকরে পানি দিয়ে গোসল করলে খোসপাচড়া চলে যায়। পাতা বা পাতা বা ফুল বেটে গায়ে কয়েকদিন লাগালে চুলকানি ভালো হয়।
পোকা-মাকড়ের কামড়: পোকামাকড় কামড়ালে বা হুল ফোটালে নিমের মূলের ছাল বা পাতা বেটে ক্ষতস্থানে লাগালে ব্যথা উপশম হয়।
দাঁতের রোগ: নিমের পাতা ও ছালের গুড়ো কিংবা নিমের ছাল দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁত হবে মজবুত।
জন্ম নিয়ন্ত্রণে নিম: নিম তেল একটি শক্তিশালী শুক্রাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। ভাবতীয় বিজ্ঞানীরা দিখিয়েছে যে, নিম তেল মহিলাদের জন্য নতুন ধরনের কার্যকারী গর্ভনিরোধক হতে পারে। এটি 30 সেকেন্ডের মধ্যেই শুক্রানু মেরে ফেলতে সক্ষম।

ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রনে: ব্লাড সুগারে রোজ সকালে খালি পেটে 15-20 টি নিম পাতা চিবিয়ে খেতে অসুবিধা হলে িএকই নিয়মে 5-6 চামচ নিম পাতার রস খেলে একটি উপকার হয়ে।


রবিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮

Tulsi the walls of natural protection to cure the disease-রোগ নিরাময়ে প্রাকৃতিক সুরক্ষা দেয়াল তুলসী


তুলসি জুস ঃ


পান করুন এক্সিলেন্ট তুলসি জুস,
থাকুন ক্লান্তিহীন .........প্রতিদিন।
সুস্বাদু, প্রাকৃতিক গুন সম্পন্ন হার্বাল ড্রিংক। 


Excellent Tulsi Juice-এক্সিলেন্ট তুলসী জুস। 


উপাদান: তুলসি বীজ, স্টেভিয়া , ইসবগুল, প্রাকুতিক ভিটামিন সি ও অন্যান্য হারবাল উপাদান দিয়ে তৈরি। 


কার্যকারিতা: 

০১. কফ নিরাময়, কৃমি, বায়ুনাশক, হজমকারক ও শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা নিরাময়ে কার্যকারী। 


০২. প্রস্রাবজনিত জ্বালা যন্ত্রানায় বিশেষ উপকার হয়। 


০৩. ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট নার্ভকে শান্ত করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে।


০৪. ফাইটো নিউট্রিয়েন্টস ও এসেন্সিয়াল অয়েল তারন্য এবং স্মরণশক্তি র্দীঘস্থায়ী করে। 


০৫. ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ফাংগাস থেকে রক্ষা করে মাথা শরীর ব্যাথা কমায়। 


০৬. ফািইটো কেমিক্যালস, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ড এবং অর্গানিক কম্পাউন্ড ভাল কোলষ্টোরল বাড়ায়, খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস পায়।


০৭. দাঁত ও হাঁড়ের ভিতরের ব্যাথা দূর করে এবং পুরুষের বীর্ঘ বৃদ্ধি পায়। 


০৮. অ্যালকোহলিক নির্যাস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। 


০৯. বমি বমি ভাব দূর হয় এবং খাবারের রুচী বাড়ে।

জুস তৈরীর নিয়মঃ

১ গ্লাস ঠান্ডা পানিতে প্যাকেটের ড্রাই জুস ঢেলে চামচ নিয়ে নেড়ে ২ মিনিট পর পান করুন। 

যোগাযোগঃ 

+880-1762102240


তুলসী বৈজ্ঞানিক নাম: Ocimum Sanctum

তুলসী একটি ঘন শাখা প্রশাখা বিশিষ্ট 2/3 ফুট উঁচু একটি চিরহরিৎ গুল্ম। এর মূল কান্ড কাষ্ঠল, পাতা 2-4 ইঞ্চি লম্বা হয়। পাতার কিনার খাঁজাকাটা, শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগ হতে 5 টি পুষ্পদন্ড বের হয় ও প্রতিটি পুষ্পদন্ডের চারদিকে ছাতার আকৃতির মত 10-20 টি স্তরে ফুল থাকে। প্রতিটি স্তরে 6 টি করে ছোট ফুল ফোটে। এর পাতা, ফুল ও ফলের একটি ঝাঁঝল গন্ধ আছে।

মানুষ একসময় প্রকৃতি থেকেই তার অসুখ বিশুখের পথ্য আহরন করতো। বিভিন্ন গাছ, লতা, পাতা বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হতো। এসবে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। মানুষ যত আধুনিক হচ্ছে , এসবকে পরিত্যাগ করছে। তবে চীন এবং ভারতে এই ভেষজ চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে ব্যাপক গবেষণা হচ্ছে। তুলসী একটি ঔষধিগাছ। তুলসী অর্থ যার তুলনা নেই। সুগন্ধিযুক্ত, কটু তিক্তরস, রুচিকর। এটি সর্দি, কাশি, কৃমি ও বায়ু নাশক এবং মুত্রকর, হজমকারক ও এন্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে বিশেষ করে কফের প্রাধান্যে যে সব রোগ সৃষ্টি হয় সে ক্ষেত্রে তুলসী বেশ ফলদায়ক। ব্যবহারঃ তুলসী গাছের নানা ঔষধি ব্যবহার করা হয়। এ গাছের রস কৃমি ও বায়ু নাশক। ঔষধ হিসাবে এই গাছের ব্যবহার্য অংশ হলো এর রস, পাতা এবং বীজ। বাংলাদেশের যে চার প্রকার তুলসী গাছ দেখা যায় সেগুলি হলো: বাবুই তুলসী, রামতুলসী, কৃষ্ণ-তুলসী ও শ্বেত তুলসী। ঔষধের কাজে একটির পরিবর্তে আরেকটি ব্যবহার করা যায়। ডায়াবেটিস পতিরোধে এর এটিও কুড়ি পাতার মত অগ্নাশয়ের কোষকে সুস্থ রাখে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী প্রতিদিন সকালে 2-4 টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে উপকার পাবেন। পেট খারাপ হলে তুলসীর 10 টা পাতা সামান্য জিরের সঙ্গে পিষে 3-4 বার খান পাতলা পায়খানা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।


জ্বর হলে পানির মধ্যে তুলসী পাতা, গোল মরিচ এবং মিশ্রী মিশিয়ে ভাল করে সেদ্ধ করুন অথবা তিনটি দ্রব্য মিশিয়ে বড়ি তৈরি করুন। দিনের মধ্যে তিন-চার বার ঐ বড়িটা জলের সঙ্গে খান। জ্বর খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।


কাশি যদি না কমে সেই ক্ষেত্রে তুলসী পাতা এবং আদা পিষে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খান এতে উপকার পাবেন। শরীরের কোন অংশ যদি পুড়ে যায় তাহলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগান এতে জ্বালা কমবে। পোড়া জায়গাটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে সেখানে কোন দাগ থাকবে না।


ত্বকের চমক বাড়ানোর জন্য এছাড়া ত্বকের বলীরেখা এবং ব্রন দূর করার জন্য তুলসী পাতা পিষে মুখে লাগান। চর্মরোগে তুলসী পাতা দূর্বাঘাসের ডগার সংগে বেটে মাখলে ভালো হয়ে যায়। ডায়রিয়া হলে 10 থেকে 12 পাতা পিষে রস খেয়ে ফেলুন।


যদি কখনও বমি কিংবা মাথা ঘোরা শুরু করে , তাহলে তুলসী রসের মধ্যে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। সকালবেলা খালি পেটে তুলসী পাতা চিবিয়ে রস পান করলে খাবার রুচী বাড়ে। নিয়মিত তুলসীর রস পানে হৃদরোগেও উপকার পাওয়া যায়। চোখের সমস্যা দূর করতে রাতে কয়েকটি তুলসী পাতা ভিজিয়ে রেখে ওই পানি দিয়ে সকালে চোখ ধুয়ে ফেলুন। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দিনে 4-5 বার তুলসী পাতা চেবান।


ঘা যদি দ্রুত কমাতে চান তাহলে তুলসী পাতা এবং ফিটকিরি একসঙ্গে পিষে ঘা এর স্থানে লাগান, কমে যাবে। বুদ্ধি এবং স্মরণশক্তি বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন 5-7 টা তুলসী পাতা চিবান। প্রসাবে জ্বালা হলে তুলসী পাতার রস 250গ্রাম দুধ এবং 150 গ্রাম জলের মধ্যে মিশিয়ে পান করুন উপকার পাবেন।ত্বকের সমস্যা দূর করতে তিল তেলের মধ্যে তুলসী পাতা ফেলে হালকা গরম করে ত্বকে লাগান।


তুলসী মূল শুক্র গাঢ় কারক। তুলসী পাতার ক্বাথ,এলাচ গুঁড়া এবং এক তোলা পরিমাণ মিছরী পান করলে ধাতুপুষ্টি সাধিত হয় যতদিন সম্ভব খাওয়া যায়। এটি অত্যন্ত ইন্দ্রিয় উত্তেজক । প্রতিদিন এক ইঞ্চি পরিমাণ তুলসী গাছের শিকড় পানের ষাথে খেলে যৌনদূর্বলতা রোগ সেরে যায়।


কোন কারনে রক্ত দূষিত হলে কাল তুলসি পাতার রস কিছুদিন খেলে উপকার পাওয়া যায়। শেষ্মার জন্য নাক বন্ধ হয়ে কোন েগন্ধ পাওয়া না গেলে সে সময় শুষ্ক পাতা চূণের নস্যি নিলে সেরে যায়। পাতাচূর্ণ দুই আঙ্গলের চিমটি দিয়ে ধরে নাক দিয়ে টানতে হয়, সেটাই নস্যি। তুলসী পাতা দিয়ে চায়ের মত করে খেলে দীর্ঘদিন সুস্থ থাকা যায়। তুলসী চা হিসাবে এটি বেশ জনপ্রিয়। তুলসী পাতার রসে লবন মিশিয়ে দাদে লাগালে উপশম হয়।


তুলসীর বীজ পানিতে ভিজালে পিচ্ছিল হয়। এই পানিতে চিনি মিশিয়ে শরবতের মত করে খেলে প্রস্রাব জনিত জ্বালা যন্ত্রনায় বিশেষ উপকার হয় এছাড়া ও  তুলসী পাতার রস 250 গ্রাম দুধ এবং 150 গ্রাম জলের মধ্যে মিশিয়ে পান করুন। মুখে বসন্তের কাল দাগে তুলসীর রস মাখলে ঐ দাগ মিলিয়ে যায়। হামের পর যে সব শিশুর মরীরে কালো দাগ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে তুলসী পাতার রস মাখলে গায়ে স্বাভাবিক রং ফিরে আসে।

বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮

What is actually in soy protein-সয়া প্রোটিন আসলে কি



সয়াবিন” এই নামটি আমাদের অনেকেরই জানা। সারা বিশ্বে বহুল প্রচলিত ও অতি জনপ্রিয় একটি পুষ্টি খাদ্যের নাম “সয়াবিন”।এর বোটানিক্যাল নাম- Glycin Max Merr, ইংলিশ নাম-Soya bean.প্রায় 3000 বছর থেকে বিশ্বের অনেক দেশে বিশেষ করে চীন দেশে সর্ব
সয়াবিন

প্রথম সয়াবিনের চাষাবাদ শুরু হয়। 2838 খ্রীষ্টপূর্বে চীন দেশের তৎকালীন সম্রাট শেনইয়াং তার রাজত্বে বাধ্যতামূলক ভাবে সয়াবিনের চাষ করাতেন এবং উৎকৃষ্টমানের খাদ্য হিসাবে রাজপরিবারের সদস্যরা স্বল্প মাত্রায় সারা বছর খাদ্য রূপে গ্রহন করতেন। প্রাচীনকালে ভারতীয় মুনি ঋষিরা মধুর সাথে দেহের পুষ্টি সাধনের জন্য উৎকৃষ্ট ও শক্তিশালী খাদ্যরূপে গ্রহন করতেন। পরিবর্তীতে এর পুষ্টিগুনাগুন বিবেচনা করে বিশ্বের প্রায় সকল উন্নত দেশে তথা আমেরিকা, ক্যানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, ইংল্যান্ড, জাপান, কোরিয়া, সাউথ আফ্রিকা ও ভারতবর্ষে ও এর চাষাবাদ প্রচলিত হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের কিছু কিছু অঞ্চলে এর চাষাবাদ শুরু হয়েছে। যদিও সয়াবিন আমাদের দেশে উৎপাদিত হচ্ছে তার বেশীর ভাগই এনজিওরা বিদেশে রপ্তানি করছে। বাংলাদেশের সয়াবিনের প্রাপ্যতা সত্বেও আমরা এর পুষ্টিগুণাগুন সম্পর্কে অনেকেই অবগত নই। আধুনিক যুগের স্বাস্থ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞানীরা সুদীর্ঘকাল গবেষণা ও পরীক্ষাপূর্বক প্রমাণ করেছেন যে, প্রচলিত গম / চাল বা অন্যান্য খাদ্য শস্যের চেয়ে প্রায় 10 গুন পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ এই সয়াবিন খাদ্য শষ্যটি। এতে রয়েছে অতি মূল্যবান 2 টি খাদ্য উপাদান তার 1 ম টির নাম Isoflavin  2য় টির নাম হচ্ছে Stenols আর এই দুইটি উপাদান ‍হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধের জন্য একটি অতি মূল্যবান ভেষজ উপাদান রূপে স্বীকৃত। 


সয়াবিন বিশ্বের একমাত্র খাদ্য শস্য যাতে রয়েছে সর্বাধিক 52% প্রোটিন এবং অতি অল্প পরিমানে প্রায় 19% কাবোহাইড্রেট । বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, আমেরিকান খাদ্য ও ঔষধ নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ , আমেরিকান হার্ট েএসোসিয়েশন ও আমেরিকান সয়াবিন উৎপাদক এসোসিয়েশন এর প্রখ্যাত স্বাস্থ্য গবেষক ও পুষ্টি বিজ্ঞানীরা এক বাক্যে স্বীকার করেছেন- “যদি প্রতিদিন 25 গ্রাম আইসোলেটেড সয়া প্রোটিন নিয়মিত খাদ্য তালিকায় কম কার্বোহাইড্রেট ও অধিক প্রোটিন যুক্ত খাদ্য হিসাবে অন্তর্ভূক্ত করা যায় তবে করোনারী হৃদরোগ বা হার্ট এ্যাট্যকের সম্ভাবনা  অধিকাংশ ক্ষেত্রে কমে যাবে। 

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার এই ঘোষনা আজ সারা বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, বিশেষ করে আমেরিকা , কানাডা, চীন, জাপান, মালয়েশিয়া, কোরিয়া, রাশিয়া সহ ইউরোপের উন্নত দেশ সমূহের জনগোষ্ঠি আজ সয়াপ্রোটিন বা সয়াপ্রোটিন থেকে উৎপাদিত দুধ, দই , কেক, ব্রেড/বিস্কুট আকারে বিভিন্ন প্রকার খাদ্য তৈরী করে নিয়মিত খাদ্যভ্যাসের অন্তর্ভূক্ত করেছে। ফলে ঐ সমস্ত দেশের জনগোষ্ঠির গড় আয়ু অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং হৃদরোগ, ডায়াবেটিস বা অন্যান্য নীরব ঘাতক অকাল মৃতূদায়ক রোগের কবল থেকে 50%-80% জনগোষ্ঠি মুক্ত হয়েছে। সাম্প্রতিক স্বাস্থ্য সমীক্ষায় দেখা গেছে বাংলাদেশের 40 বয়সোর্ধ জনসাধারনের প্রায় 70 % ডায়াবেটিক ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অকাল মৃত্যূর ঝুঁকি নিয়ে জীবন যাপন করছে। 


এই অকাল মৃত্যূরদায়ক ব্যাধি সমূহের প্রধান কারণ সম্পর্কে বিশ্বের বিজ্ঞানীরা এক বাক্যে স্বীকার করেছেন- "Malnutrition" বা দেহে পুষ্টির অভাব। পুষ্টির অসামঞ্জস্যতার কারণে প্রথমে দেহে অত্যাধিক চর্বি বা ট্রাইগ্লিসারিড বা কোলেষ্ট্ররল বৃদ্ধি পায়। এই স্বাস্থ্য সমস্যাকে Obesity বা দেহে চর্বির আধিক্য বলে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। ক্রমশ দেহে চর্বির আধ্যিক্যের কারণে করোনারী হৃদরোগ , উচ্চ রক্তচাপ, রক্তণালী অবরোধ হওয়া ডায়াবেটিক -টাইপ-1,2 ও অন্যান্য রোগে আক্রান্তে হয়ে অনেক ক্ষেত্রে হার্ট এ্যাটাক বা কার্ডিয়াক এ্যাটাক হয়ে অকাল মৃত্যূ বরণ করে অথবা ঐ ব্যাক্তির স্বাভাবিক আয়ু 15 বছর ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।


বিশ্বের স্বাস্থ্য সচেতন পুষ্টি বিজ্ঞানীরা সুদীর্ঘকাল গবেষণা করে প্রমাণ করেছেন যে, একমাত্র প্রাকৃতিক পুষ্টি খাদ্য সয়াপ্রোটিনের নিয়মিত খাদ্যভ্যাস গড়ে তুলতে পারলেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেহের চর্বি বৃদ্ধি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, অবাঞ্চিত টিউমার/ক্যান্সার , সন্ধিবাত ও অন্যান্য Syndrom-x রোগ সমূহ প্রেতিরোধ ও নির্মূল করা সম্ভব হবে।


সয়াবিনের উপর বৈজ্ঞানিক গবেষনা
100 গ্রাম সয়া আইসোলেট পাউডার প্রাপ্য ফলাফলঃ-

খাদ্য উপাদান                             %                              খনিজ ও ভিটামিন                                     %        
প্রোটিন                                51.31%                           ক্যালসিয়াম                            297.70 মিঃগ্রাঃ      
কার্বহাইড্রেট                        18.68 %                          আয়রন                                   15.00 মিঃ গ্রাঃ     
ফ্যাট                                  16.93 %                          ফসফরাস                               880.00 মিঃগ্রাঃ     
ফাইবার                               6.68 %                            লেসিথিন                                   5.8  মিঃ গ্রাঃ   
মিনারেলস                            4.6 %                             ভিটামিন-বি                              1.20 মিঃ গ্রাঃ     
পানি                                    1.1 %                             ভিটামিন-ই                                 0.90 মিঃগ্রাঃ     
ওমেগা-3                            1.705 %                           ক্যালরী                                438 কিঃ সি.এলঃ

প্রধান প্রধান কার্বোহাইড্রেট্র যুক্ত খাদ্যসমূহঃ-



চাল / গম / সয়াবিনের পুষ্টি গুনাগুনের তুলনামূলক চার্ট:-

খাদ্যের নাম    প্রোটিন   কার্বোহাইড্রেট  ক্যালসিয়াম   ফসফরাস  আয়রন  ফাইবার এসেনসিয়াল ফ্যাট
গম                11.1 %      73 %               48 মিঃগ্রাঃ     355মিঃগ্রাঃ     3.5মিঃগ্রাঃ   1.9মিঃগ্রাঃ1.7 মিঃগ্রাঃ  
চাল               7.5 %        78 %              10.মিঃগ্রাঃ     190মিঃগ্রাঃ     3.2মিঃগ্রাঃ   0.2 মিঃগ্রাঃ    .0মিঃগ্রাঃ 
সয়াবিন         51.31 %     20 %           297মিঃগ্রাঃ     880মিঃগ্রাঃ    15.0মিঃগ্রাঃ  5.68মিঃগ্রাঃ  6.9মিঃগ্রাঃ 


ছাড়াও পরীক্ষায় দেখা গেছে চাল ও গম থেকে সয়াবিনে 10 গুন বেশি পরিমানে ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স,ভিটামিন-ই, ভিটামিন-কে ও ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ রয়েছে। পুষ্টি গবেষণায় ফলাফল আমেরিকান, ভারতীয় ও বাংলাদেশের পুষ্টি বিজ্ঞানীদের দ্বারা পরীক্ষিত ও নির্ধারিত।এসম্পর্কে আরোও বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে https://www.nationalnutrition.ca/default.aspx এ দেখতে পারেন। এছাড়াও ষ্ট্যান্ডার্ড বায়ো-নিউট্রিশন কতৃক পরিচালিত “খাদ্য ও পুষ্টি সচেতনতা কার্যক্রম” ও স্বাস্থ্য, সম্পদ ও অর্থনৈতিক মুক্তি। “ Health Wealth and Financial Freedom" সেমিনারে অংশগ্রহন করে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেন। 

"সয়া প্রোটিন রিভার্সেল ডায়েট” - সেবনের পদ্ধতিঃ-


ক) যেহেতু এটি একটি পরিবর্তিত পুষ্টি খাদ্য-তাই যারা দেহের অধিক ওজন / চর্বি কমাতে চান -তারা নিম্নরূপ সেবন করবেন।সকালে নাস্তা খাওয়ার পরিবর্তে
1) 4 চা চামচ / 26 গ্রাম সয়া প্রোটিন পাউডার ও 05 মি.লি/ অর্ধেক চা চামচ একটুকরো আপেল / একটুরো পেঁপে / আধাকাপ কমলার রস 250 মিলি পানির সাথে ব্লেন্ডারে ভালভাবে মিশিয়ে ধীরে ধীরে সেবন করবেন। প্রয়োজনে দু-এক টুকরো বরফ মিশাতে পারেন।
2) ক্ষেত্র বিশেষ কখনও 100 গ্রাম ফ্যাট ফ্রি টক দই বা 100 মিলি সয়া দুধ 150 মিলি পানির সাথে ব্লেন্ডিং ও মিশ্রন করা যেতে পারে।
>> দুপুর / রাতে আপনার সুবিধা অনুযায়ী খাবার খাওয়ার পরিবর্তে (1) বা (2) এর নিয়মানুসারে প্রস্তুত মিশ্রণ সেবন করতে হবে। কোন প্রকার অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহন চলবে না।
>> দুপুর / রাতে-দিনে কেবল মাত্র 1 বারিই  আপনার পছন্দমত ঘরে তৈরি প্রচলিত খাবার যেমন- ছোট মাছ, ভাত, ডাল , সবজি খেতে পা্রবেন।তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন অত্যাধিক খাবার না হয় তাতে ওজন হ্রাস বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
>> দিনে পর্যাপ্ত অর্থাৎ 10/12 গ্লাস বা 3/4 লিটার পানি পান করতে হবে। কেননা দেহের বাড়তি চর্বি/ টকসিন আপনার মলমুত্রের সাথে অধিক পরিমানে নিষ্কাষিত হবে।


খ)  যারা দেহের ওজন বাড়াতে চান-তারা উপরোক্ত (1) বা (2) এর নিয়ম অনুযায়ী ড্রিংক মিশ্রন প্রস্তুত পূর্বক সকালের নাস্তা, দুপুরের ও রাত্রের খাবারের 1 ঘন্টা পরে দিনে তিনবারই 250 এম এল মিশ্রন সেবন করবেন।তাতে মাসে 2-3 কেজি ওজন বৃদ্ধি পাবে এবং আদর্শ ওজনে পৌঁছে গেলে ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য--
গ)  সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার যথারীতি খাবেন এবং রাতের খাবারের পরিবর্তে শুধু একবার (1) বা (2) - এর নিয়ম অনুযায়ী ড্রিংক মিশ্রণ তৈরি করে সেবন করবেন। তাতে আর্দশ ওজন বজায় থাকবে। 



সতর্কতাঃ-

>> সবর্দা সকল প্রকার ভোজ্য তেল মুক্ত (0-Oil Cooking) খাবার খাবেন।
>> মিশ্রণে লবন, চিনি বা দুধ দিবেন না । চিনি/দুধ বর্জিত অথবা ষ্টিভিয়া বা হার্বাল চিনি সহকারে অনধিক 2 কাপ বা কফি সেবন করতে পারেন। 
>> বিকালে কোন সময় ক্ষুধা অনভব করলে 150 এম এল সয়াপ্রোটিন ড্রিংক মিশ্রণ তৈরি করে সেবন করতে পারেন -অন্য প্রকার আলাদা স্ন্যাক্স, ডিম, তেলে ভাজা খাদ্য, মিষ্টি বিস্কুট খাবেন না। 
>> আপনি  যদি মাসিক 5-7কেজি ওজন কমাতে চান তবে উপরোক্ত নিয়মের কোন প্রকার ব্যাতিক্রম করা চলবে না। প্রত্যহ 1400 ক্যালরী খাদ্যের চেয়ে বেশী খাদ্য খাবেন না। 
>> সর্বদা তাজা মিশ্রণ তৈরী করে সেবন করুন। 



বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায় দেখা গেছে “ বিশ্বে যত অকাল মৃত্যূ সংঘটিত হচ্ছে তার 70% অকাল মৃত্যুই হচ্ছে-করোনারী হার্ট ডিজিজ / ষ্ট্রোক ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যান্সার, আর্টারী ব্লকেজ ইত্যাদি কয়েকটি Syndrome-x জনিত রোগ সমূহের কারণে”। আর এই Syndrome-x রোগসমূহের প্রধান কারণ হচ্ছে ত্রূটিপূর্ন খাদ্যভ্যাস বা Malnutrition এর প্রভাব। বিশ্বের সেরা পুষ্টি বিজ্ঞানীরা গবেষনা করে দেখেছেন- একমাত্র পুষ্টির গোলযোগের কারণে দেহে পর্যাপ্ত প্রোটিন, ভিটামিনস, মিনারেলস এর অভাবে সৃষ্টি হয় Obesity / মেদভূড়ি । ক্রমান্বয়ে রক্তে ব্লাডসুগারের মাত্রাধিক্য (ডায়াবেটিস), উচ্চ রক্তচাপ, করোনারী হার্ট ডিজিজ , আর্টারী ব্লকেজ - অবশেষে হার্ট এ্যাটাক/ ব্রেইন ষ্ট্রোক / হেমারেজ সংঘটিত হয়ে অকাল মৃত্যু ঘটে। এছাড়া ও দেহের অতিরিক্ত চর্বি / ওজনের কারণে আর্থরাইটিস, মাইগ্রেন ক্যান্সার, স্পন্ডিলাইটিস, মহিলাদের বন্ধাত্ব, ওভারিয়ান সিষ্ট/ টিউমার সহ হরমোনাল গোলযোগ, স্নায়ুবিক দূর্বলতা, যৌন দূর্বলতা / অক্ষমতা, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস দেখা দেয়।
পুষ্টি বিজ্ঞানী ড. ডেবিড হেবার (পিএইচডি) ও নোবেল বিজয়ী হৃদরোগ ও স্বাস্থ্য বিজ্ঞানী ডঃ লুইস ইনন্যারো (পিএইচডি) সুদীর্ঘকাল গবেষণা করে উপদেশ দিয়েছেন যে- “দেহের ওজনবৃদ্ধির প্রবণতা নিয়ন্ত্রন, ওজন কমানো বা আদর্শ ওজন বজায় রাখতে -একমাত্র প্রয়োজন হচ্ছে দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনে অনুসারে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার ও ভিটামিন-মিনারেল যুক্ত সম্পূরক পরিবর্তিত পুষ্টি খাদ্যভ্যাস গড়ে তোলা”।