What is Coronavirus-করোনাভাইরাস কি
>করোনা ভাইরাস কি?
নোভেল করোনাভাইরাস শ্বাসতন্ত্রের রোগ সৃষ্টি করে এমন একটি নতুন ধরনের ভাইরাস (কোভিড-19) , যা আগে কখনও মানবদেহে পাওয়া যায়নি। করোনাভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমন ঘটায়। হাঁসি, কাশি, কফ, সর্দি, থুতু এবং আক্রান্ত ব্যাক্তির সংস্পর্শে এলে এই রোগ একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায়।
Coronavirus-করোনাভাইরাস |
>কোভিড-19 আক্রান্ত হওয়ার কত দিনের মধ্যে লক্ষনসমূহ প্রকাশ পায়?
কেউ এই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ২ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে তার শররে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওযার লক্ষণ প্রকাশ পায়।
সর্ব প্রথম কোন জাতি করোনাভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়?
২০১৯ সালে চীন জাতি সর্বপ্রথম মরনব্যাধি নোভেল করোনাভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হন। ধারনা করা হচ্ছে তাদের খাদ্যাভাস বিভিন্ন হারাম জাতিয় খাবার থেকে উৎপত্তি হয়।
২০১৯ সালে চীন জাতি সর্বপ্রথম মরনব্যাধি নোভেল করোনাভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হন। ধারনা করা হচ্ছে তাদের খাদ্যাভাস বিভিন্ন হারাম জাতিয় খাবার থেকে উৎপত্তি হয়।
চীনে সর্বপ্রথম করোনাভাইরাস |
> কোভিড-১৯
এর কোনো নির্দিষ্ঠ টিকিৎসা রয়েছে কি?
এখন ও পর্যন্ত
কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা বা প্রতিরোধ কর্যকারী নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই। আক্রান্ত ব্যক্তিদের
উপসর্র্গ উপশমের জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা এবং গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য পর্যাপ্ত
সহায়ক স্বাস্থ্যসেবা (সাপোর্টিভ কেয়ার)দিতে হবে। সঠিকভাবে হাত ধোয়া ও কাশির শিষ্টাচার
মেনে চলা এই রোগ প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায়।
>বাংলাদেশে কারো করোনাভাইরাস দেখা দিলে কি করবেন?
বাংলাদেশে
কারো নোভেল করোনাভাইরাস দেখা দিলে বা আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহ, লক্ষন বা উপসর্র্গ দেখা দিলে সরাসরি বাংলাদেশ রোগতত্ত্ব নিয়ন্ত্রণ ও গবেষনা প্রতিষ্টানে (আই ই ডি সি আর)না গিয়ে বাড়িতে থেকে তাদের হটলাইন নম্বরে ফোন করলে তারাই বাড়িতে গিয়ে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করবেন।
আই.ই.ডি.সি.আর হটলাইন:
+৮৮০-১৯৪৪৩৩৩২২২
+৮৮০-১৯৩৭০০০০১১
+৮৮০-১৯৩৭১১০০১১
+৮৮০-১৯২৭৭১১৭৮৪
+৮৮০-১৯২৭৭১১৭৮৫
+৮৮০-১৫৫০০৬৪৯০১-০৫
স্বাস্থ্য
বাতায়ন: ১৬২৬৩
অ্যান্টিবায়োটিক কি কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা বা প্রতিরোধ কার্যাকারী ?
অ্যান্টিবায়োটিক ভাইরাসের বিরুদ্ধে নয়, ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যাকরী। নোভেল
করোনাভাইরাস এক ধরনের ভাইরাস বিধায় এর টিকিৎসা বা প্রতিরোধ অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার
করা উচিত নয়। তবে যদি কেউ কোভিড-১৯ ভাইসাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, তিনি
টিকিৎসকের সরামর্শে ব্যাকটেরিয়া থেকে সহ-সংক্রমনের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক নিতে পারেন।
> অসুস্থ হয়ে পড়লে কী করতে হবে?
পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ রাখতে একা একটি আলাদা কক্ষে থাকুন ও সবসময় মাস্ক ব্যবহার করুন। এসময় বাড়িতে কোয়ারান্টাইনে থাকা জরুরি। উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে হটলাইনে ফোন করুন।
> আক্রান্ত শে থেকে আসা বাংলাদেশি ও বিদেশি নাগরিকদের কী করা প্রয়োজন ?
ফেরত আসা বাংলাদেশি / বিদেশি নাগরিক যদি সুস্থও তাকনে, তবুও তাকে বাংলাদেশে আগমনের দিন থেকে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারান্টাইনে সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে আলদা থাকতে এবং সবসময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
> সামাজিক দুরত্ব কি ও কেন দরকার?
সামাজিক দুরত্ব মানে জনবহুল স্থান, সমাবেশ এবং সামাজিক অনুষ্ঠান পরিহার করে চলা এবং অন্য মানুষের কাছ থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা । এতে একে অন্যের কাছ থেকে রোগ সংক্রমনের ঝুঁকি কমে আসবে। সুস্থ ব্যক্তির জন্যও এটি প্রযোজ্য।
> কোয়ারান্টাইন কেন দরকার?
কোয়ারান্টাইনের মাধ্যমে সেই সকল সুস্থ ব্যক্তি যারা কোনো আক্রান্ত বক্তির সংস্পের্শে এসেছে, তাদেরকে অন্য সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে আলাদা রাখা হয় । তাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রনে রেথে তারা ওই সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা দেখা হয়।
> অসুস্থ হয়ে পড়লে কী করতে হবে?
পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ রাখতে একা একটি আলাদা কক্ষে থাকুন ও সবসময় মাস্ক ব্যবহার করুন। এসময় বাড়িতে কোয়ারান্টাইনে থাকা জরুরি। উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে হটলাইনে ফোন করুন।
> আক্রান্ত শে থেকে আসা বাংলাদেশি ও বিদেশি নাগরিকদের কী করা প্রয়োজন ?
ফেরত আসা বাংলাদেশি / বিদেশি নাগরিক যদি সুস্থও তাকনে, তবুও তাকে বাংলাদেশে আগমনের দিন থেকে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারান্টাইনে সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে আলদা থাকতে এবং সবসময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
> সামাজিক দুরত্ব কি ও কেন দরকার?
সামাজিক দুরত্ব মানে জনবহুল স্থান, সমাবেশ এবং সামাজিক অনুষ্ঠান পরিহার করে চলা এবং অন্য মানুষের কাছ থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা । এতে একে অন্যের কাছ থেকে রোগ সংক্রমনের ঝুঁকি কমে আসবে। সুস্থ ব্যক্তির জন্যও এটি প্রযোজ্য।
> কোয়ারান্টাইন কেন দরকার?
কোয়ারান্টাইনের মাধ্যমে সেই সকল সুস্থ ব্যক্তি যারা কোনো আক্রান্ত বক্তির সংস্পের্শে এসেছে, তাদেরকে অন্য সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে আলাদা রাখা হয় । তাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রনে রেথে তারা ওই সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা দেখা হয়।
> বাড়িতে কোয়ারান্টাইন থাকতে কী করতে হবে?
বাড়িতে কোয়ারন্টইনে থাকার অর্থ হলো ১৪ দিন সকল মেলামেশা এড়িয়ে নির্দিষ্ট একটি ঘরে অবস্থান করা। এ সময় কোনো অবস্থাতেই কর্মস্থল, স্কুল, বা জনসমাগম স্থলে যাওয়া যাবে না। একমাত্র উপাসনালয় যেমন - মসজিদে যেতে পারবেন। কারন করোনাভাইরাসের মালিক আল্লাহর ঘর ছাড়া অন্য কোন সামাজিক যে কোন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। পাশাপাশি গনপরিবহন ব্যবহার করা যাবে না। ঘরে অবস্থানকালে পরিবারের অন্যদের সংস্পর্শে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। এক কামরায় থাকলে মাস্ক ব্যবহার ও অন্যদের কাছ থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় ছড়াতে পারে। তাই কোয়ারান্টাইনে থাকা ব্যক্তি বা তার সংস্পর্শে আসা সকলের হাত ধোয়া, পরিচ্ছন্নতা ও হাাঁচি -কাশি সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
>> করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ৮ টি স্বাস্থ্যবিধি:-
০১. করমর্দন ও কোলাকুলি থেকে বিরত থাকি। একে অন্যের কাছ থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব থাকি। ০২.হাঁচি-কাশি দেওয়ার আগে টিস্যু, রুমাল বা কনুই দিয়ে মুখ ঢাকি এবং পরে সাবান দিয়ে হাত ধুই।
০৩. কিছুক্ষণ পরপর অন্তত ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড ধরে দুই হাত সাবান দিয়ে পরিস্কার করি।
০৪. টিস্যু ব্যবহার করার পর ঢাকনাযুক্ত ডাষ্টবিনে ফেলি। ফেলার পর আবার হাত ধুয়ে নিই।
০৫. সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি। জনবহুল স্থান, সভা-সমাবেশ এবং সামাজিক অনুষ্ঠান বর্জন করি।
০৬. চোখ, নাক ও মুখ হাত দিয়ে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকি।
০৭. নিজের জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট থাকলে সুস্থ ব্যাক্তিদের কাছ থেকে দূরে থাকি।
০৮. বিদেশ থেকে ফিরলে ১৪ দিন অন্তত বাড়িতে কোয়ারন্টাইনে (সবার থেকে আলাদা ) থাকি।
>> করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ইসলামের নির্দেশ:-
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ ( স:) বলেছেন- কোন এলাকা মহামারী আক্রান্ত হলে সে এলাকা থেকে কেহ স্থান ত্যাগ করো না। এবং সে স্থানে নতুন কোন ব্যক্তি প্রবেশ করবে না। তবে মহামারী আক্রান্ত এলাকায় কোন মুসলিম মৃত্যুবরন করলে সে শহীদি মৃত্যু লাভ করল। --- (আল-হাদীস)।
কঠিন রোগ থেকে মুক্তি লাভের দু’আ:- আল্লা-হুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিনাল বারাসি ওয়াল্ জুনূনি, ওয়াল জুযা-মি , ওয়াল ছাইয়্যিইল্ আসক্বাম। [ আবু-দাউদ-হাদীস নং- ১৫৫৪]
এছাড়াও রাসুলুল্লাহ্ সা: বলেছেন- কালোজিরা হচ্ছে মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের ঔষধ। তাই কালোজিরার তেল ব্যবহার করতে পারেন। এবং মধু ব্যবহার করতে পারেন।
>> করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ৮ টি স্বাস্থ্যবিধি:-
০১. করমর্দন ও কোলাকুলি থেকে বিরত থাকি। একে অন্যের কাছ থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব থাকি। ০২.হাঁচি-কাশি দেওয়ার আগে টিস্যু, রুমাল বা কনুই দিয়ে মুখ ঢাকি এবং পরে সাবান দিয়ে হাত ধুই।
০৩. কিছুক্ষণ পরপর অন্তত ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড ধরে দুই হাত সাবান দিয়ে পরিস্কার করি।
০৪. টিস্যু ব্যবহার করার পর ঢাকনাযুক্ত ডাষ্টবিনে ফেলি। ফেলার পর আবার হাত ধুয়ে নিই।
০৫. সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি। জনবহুল স্থান, সভা-সমাবেশ এবং সামাজিক অনুষ্ঠান বর্জন করি।
০৬. চোখ, নাক ও মুখ হাত দিয়ে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকি।
০৭. নিজের জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট থাকলে সুস্থ ব্যাক্তিদের কাছ থেকে দূরে থাকি।
০৮. বিদেশ থেকে ফিরলে ১৪ দিন অন্তত বাড়িতে কোয়ারন্টাইনে (সবার থেকে আলাদা ) থাকি।
>> করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ইসলামের নির্দেশ:-
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ ( স:) বলেছেন- কোন এলাকা মহামারী আক্রান্ত হলে সে এলাকা থেকে কেহ স্থান ত্যাগ করো না। এবং সে স্থানে নতুন কোন ব্যক্তি প্রবেশ করবে না। তবে মহামারী আক্রান্ত এলাকায় কোন মুসলিম মৃত্যুবরন করলে সে শহীদি মৃত্যু লাভ করল। --- (আল-হাদীস)।
কঠিন রোগ থেকে মুক্তি লাভের দু’আ:- আল্লা-হুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিনাল বারাসি ওয়াল্ জুনূনি, ওয়াল জুযা-মি , ওয়াল ছাইয়্যিইল্ আসক্বাম। [ আবু-দাউদ-হাদীস নং- ১৫৫৪]
এছাড়াও রাসুলুল্লাহ্ সা: বলেছেন- কালোজিরা হচ্ছে মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের ঔষধ। তাই কালোজিরার তেল ব্যবহার করতে পারেন। এবং মধু ব্যবহার করতে পারেন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন