মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ও সৌন্দর্য্যে সেবায় এবং দেশের বেকার জনগোষ্ঠীর একমাত্র কর্মসংস্থান তৈরি একটি এক্সিলেন্ট ওয়ার্ল্ড প্রতিষ্ঠান।চমৎকার বিশ্ব, অনলাইন আয়ের উৎস, স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য, অনলাইন চাকরি, খণ্ডকালীন কাজ, ডিজিটাল মার্কেটিং, অনলাইন মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, Excellent World, Online income source, health and beauty, Online job, Part time work, Digital marketing, online marketing, Affiliate Marketing,
সাধারনত কালোজিরা নামে পরিচিত হলেও কালোজিরার আরো কিছু নাম আছে, যেমন- নাইজেলা, কালো কেওড়া , রোমান করিয়েন্ডার বা রোমান করিয়েন্ডার বা রোমান ধনে, ফিনেল ফ্লাওয়ার, হাব্বাটুসসউডা ও কালঞ্জি ইত্যাদি। কালোজিরার বৈজ্ঞানিক নাম- Nigella Sativa. যে নামেই ডাকা হোকনা কেন এই কারো বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতা অপরিসীম। ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নিধন থেকে শুরু করে শরীরের কোষ ও কলার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে কালোজিরা।
কালোজিরার অবাক করা ১১টি গুনাগুন
শুধুমাত্র স্বাস্থের জন্যই না কালোজিরা চুল ও ত্বকের জন্যও অনেক উপকারি। প্রত্যেকের রান্নাঘরেই কালোজিরা থাকে যা খাবারকে সুবাসিত করে। আসুন আমরা আজ আর্শ্চয বীজ কালোজিরার উপকারিতা গুলো জেনে নেই।
০১.স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি: এক চা - চামচ পুদিনা পাতার রস বা কমলার রস বা এক কাপ রং চায়ের সাথে এক চা-চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দিনে তিনবার করে নিয়মিত সেব্য। যা দুচিন্তা দূর করে। এছাড়া কালোজিরা মেধার বিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুন হারে। কারোজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিসেপটিক বা অ্যান্টিবায়োটিক। মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধি হয়।
০২.মাথা ব্যাথা নিরাময়ে: ১/২ চা-চামচ কালোজিরার তেল মাথায় ভালোভাবে লাগাতে হবে এবং চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ দিনে তিনবার করে ২/৩ সপ্তাহ সেব্য।
০৩. সর্দি সারাতে: এক চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধু বা এক কাপ রং চায়ের যাতে মিশিয়ে দৈনিক ৩ বার সেব্য এবং মাথায় ও ঘাড়ে রোগ সেরে না যাওয়া পর্যন্ত মালিশ করতে হবে। এছাড়া এক চা-চামচ কালোজিরার বেটে কপালে প্রলেপ দিন। একই সঙ্গে পাতলা পরিস্কার কাপড়ে কালিজিরা বেঁধে শুকতে থাকুন, শেষ্মা তরল হয়ে ঝরে পড়বে। আরো দ্রুত ফল পেতে বুকে ও পিঠে কালিজিরার তেল মালিশ করুন।
০৪. বাতের ব্যাথা দূরীকরণে: আক্রান্ত স্থানে ধুয়ে পরিষ্কার করে তাতে মালিশ করে; এক চা-চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে সমপরিমাণ কালোজিরার তেল বুকে নিয়মিত মালিশ করতে হবে।
০৫. বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ সারতে: আক্রান্ত স্থান ধুয়ে পরিস্কার করে তাতে মালিশ করে; এক চা-চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে সমপরিমান কালোজিরার তেল সমপরিমান মধু বা এককাপ রং চায়ের সাথেদৈনিক ৩ বার করে ২/৩ সপ্তাহ সেব্য।
০৬.হার্টের বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে: এক চা-চামচ জিরার তেল সহ এক কাপ দুধ খেয়ে দৈনিক ২ বার করে ৪/৫ সপ্তাহ সেব্য এবং শুধু কারোজিরার তেল বুকে নিয়মিত মালিশ করতে হবে।
০৭. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে রাখতে: প্রতিদিন সকালে রসুনের দুটি কোষ চিবিয়ে খেয়ে এবং সমস্ত শরীরে কালোজিরার তেল মালিশ করে সূর্যের তাপে কমপক্ষে আধাঘন্টা অবস্থান করতে হবে এবং এক চা-চামচ কালোজিরার তেল বহুমুত্র রোগীদের রক্তের শর্করার মাত্র কমিয়ে দেয় এবং নিম্ন রক্তচাপকে বৃদ্ধি করে ও উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাস করে।
০৮.অর্শ রোগ নিরাময়ে: এক চা-চামচ মাখন ও সমপরিমাণ তেল চূর্ন / তিলের তেল, এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সহ প্রতিদিন খালি পেটে ৩/৪ সপ্তাহ সেবা । ০৯. শ্বাস কষ্ট বা হাঁপানি রোগ সারাতে: যারা হাঁপানী বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের জন্য কালোজিরা অনেক বেশি উপকারী প্রতিদিন কালোজিরার ভর্তা রাখুন খাদ্য তালিকায়। কালোজিরার হাঁপানি বা শ্বাস কষ্টজনিত সমস্যা উপশম হবে। এছাড়া এক কাপ চা-চামচ কালোজিরার তেল, এক কাপ দুধ বা রং চায়ের সাথে দৈনিক ৩ বার করে নিয়মিত সেব।
১০. ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে: ডায়াবেটিকদের রোগ উপশমে বেশ কাজে লাগে কালিজিরা। এক চিমটি পরিমাণ কালিজিরা এক গ্লাস পানির সঙ্গে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেয়ে দেখুন, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়া এক কাপ চা-চামচ কালোজিরার তেল, এক কাপ রং চা বা গরম ভাতের সাথে মিশিয়ে দৈনিক ২ বার করে নিয়মিত সেব্য। যা ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে একশত ভাগ ফলপ্রসূ।
এক্সিলেন্ট
কালোজিরা তেল
প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত একটি আশ্চর্য তেল
জ্বর, সর্দি, কফ, কাশ, ব্রংকাইটিস, পেটব্যথা, বদহজম, বমি , বাত, স্তনদুগ্ধ স্বল্পতা, একজিমা, কাটাছেঁড়া, ও সাধারণ ব্যথা দুর করে।
উপাদানঃ কালোজিরা।
১. হযরত মুহাম্মদ (সা:) বলেন, “ কালোজিরায় মৃত্যূ ছাড়া সকল রোগের নিরাময় রয়েছে।
২. নাইজেলোন, থাইমোকনোন ও স্থায়ী ফ্যাটি এসিড, লিনোলিক এসিড, অলিক এসিড, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রণ, জিংক, ম্যাগনেমিয়াম, সেলেনিয়াম, ভিটামিন এ, বি, বি ২ নিয়াসিন ফসফরাস, কার্বোহাইড্রেট, ক্যান্সার প্রতিরোধক কেরোটিন ও শক্তিশালী হরমোন বিদ্যমান।
৩. অ্যান্টি-বায়োটিক ও সেপটিক মস্তিকের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি করে িএবং জিহবা , দাঁতের মাড়ির জীবাণু ধ্বংস।
৪. অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও মাইকেটিক বোনম্যারা ও প্রতিরক্ষা কোষগুলোকে উত্তেজিত করে এবং ইন্টারফেরন বৃদ্ধি করে দীর্ঘ দিনের রিউমেটিক এবং পিঠের ব্যাথা কমায়।
৫. সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, অনিয়মিত মাসিক সারাতে, মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে, গ্যাষ্ট্রিক, আমাশয়, জন্ডিস, ঘুমের সমস্যা, চুলের পুষ্টি বৃদ্ধি করে চুল পড়া রোধ করে।
৬. হার্টের সমস্যা, ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রন, অর্শ্বোরোগ, ডায়াবেটিকস, চর্মরোগ, যৌন রোগের মহাঔষোধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৭. আফলাটক্সিন বিষ ধ্বংস করে, লিভার ক্যান্সারের ঝুকিঁ কমায়।
৮. টিউমার বৃদ্ধি প্রতিহত করে ও শরীরে ক্যান্সার উৎপাদন ফ্রি রেডিকেল অপসারিত করে।
৯. মাত্রাতিরিক্ত পেশাব প্রতিরোধ, মূত্রথলির পাথর ইত্যাদির জন্য বিশেষ কার্যকরী।
১০. শিশুর দৈহিক , মানসিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, হজমশক্তি বৃদ্ধি ও পেট ফাঁপাভাব দূর করে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন