ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮ https://excellentworldbarisal.blogspot.com/
তুলসি জুস ঃ-
পান করুন এক্সিলেন্ট তুলসি জুস,
থাকুন ক্লান্তিহীন .........প্রতিদিন।
সুস্বাদু, প্রাকৃতিক গুন সম্পন্ন হার্বাল ড্রিংক।
|
Excellent Tulsi Juice-এক্সিলেন্ট তুলসী জুস। |
উপাদান: তুলসি বীজ, স্টেভিয়া , ইসবগুল, প্রাকুতিক ভিটামিন সি ও অন্যান্য হারবাল উপাদান দিয়ে তৈরি।
কার্যকারিতা:
০১. কফ নিরাময়, কৃমি, বায়ুনাশক, হজমকারক ও শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা নিরাময়ে কার্যকারী।
০২. প্রস্রাবজনিত জ্বালা যন্ত্রানায় বিশেষ উপকার হয়।
০৩. ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট নার্ভকে শান্ত করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে।
০৪. ফাইটো নিউট্রিয়েন্টস ও এসেন্সিয়াল অয়েল তারন্য এবং স্মরণশক্তি র্দীঘস্থায়ী করে।
০৫. ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ফাংগাস থেকে রক্ষা করে মাথা শরীর ব্যাথা কমায়।
০৬. ফািইটো কেমিক্যালস, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ড এবং অর্গানিক কম্পাউন্ড ভাল কোলষ্টোরল বাড়ায়, খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস পায়।
০৭. দাঁত ও হাঁড়ের ভিতরের ব্যাথা দূর করে এবং পুরুষের বীর্ঘ বৃদ্ধি পায়।
০৮. অ্যালকোহলিক নির্যাস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।
০৯. বমি বমি ভাব দূর হয় এবং খাবারের রুচী বাড়ে।
জুস তৈরীর নিয়মঃ
১ গ্লাস ঠান্ডা পানিতে প্যাকেটের ড্রাই জুস ঢেলে চামচ নিয়ে নেড়ে ২ মিনিট পর পান করুন।
যোগাযোগঃ
+880-1762102240
তুলসী বৈজ্ঞানিক নাম: Ocimum Sanctum
তুলসী একটি ঘন শাখা প্রশাখা বিশিষ্ট 2/3 ফুট উঁচু একটি চিরহরিৎ গুল্ম। এর মূল কান্ড কাষ্ঠল, পাতা 2-4 ইঞ্চি লম্বা হয়। পাতার কিনার খাঁজাকাটা, শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগ হতে 5 টি পুষ্পদন্ড বের হয় ও প্রতিটি পুষ্পদন্ডের চারদিকে ছাতার আকৃতির মত 10-20 টি স্তরে ফুল থাকে। প্রতিটি স্তরে 6 টি করে ছোট ফুল ফোটে। এর পাতা, ফুল ও ফলের একটি ঝাঁঝল গন্ধ আছে।
মানুষ একসময় প্রকৃতি থেকেই তার অসুখ বিশুখের পথ্য আহরন করতো। বিভিন্ন গাছ, লতা, পাতা বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হতো। এসবে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। মানুষ যত আধুনিক হচ্ছে , এসবকে পরিত্যাগ করছে। তবে চীন এবং ভারতে এই ভেষজ চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে ব্যাপক গবেষণা হচ্ছে। তুলসী একটি ঔষধিগাছ। তুলসী অর্থ যার তুলনা নেই। সুগন্ধিযুক্ত, কটু তিক্তরস, রুচিকর। এটি সর্দি, কাশি, কৃমি ও বায়ু নাশক এবং মুত্রকর, হজমকারক ও এন্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে বিশেষ করে কফের প্রাধান্যে যে সব রোগ সৃষ্টি হয় সে ক্ষেত্রে তুলসী বেশ ফলদায়ক। ব্যবহারঃ তুলসী গাছের নানা ঔষধি ব্যবহার করা হয়। এ গাছের রস কৃমি ও বায়ু নাশক। ঔষধ হিসাবে এই গাছের ব্যবহার্য অংশ হলো এর রস, পাতা এবং বীজ। বাংলাদেশের যে চার প্রকার তুলসী গাছ দেখা যায় সেগুলি হলো: বাবুই তুলসী, রামতুলসী, কৃষ্ণ-তুলসী ও শ্বেত তুলসী। ঔষধের কাজে একটির পরিবর্তে আরেকটি ব্যবহার করা যায়। ডায়াবেটিস পতিরোধে এর এটিও কুড়ি পাতার মত অগ্নাশয়ের কোষকে সুস্থ রাখে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী প্রতিদিন সকালে 2-4 টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে উপকার পাবেন। পেট খারাপ হলে তুলসীর 10 টা পাতা সামান্য জিরের সঙ্গে পিষে 3-4 বার খান পাতলা পায়খানা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।
জ্বর হলে পানির মধ্যে তুলসী পাতা, গোল মরিচ এবং মিশ্রী মিশিয়ে ভাল করে সেদ্ধ করুন অথবা তিনটি দ্রব্য মিশিয়ে বড়ি তৈরি করুন। দিনের মধ্যে তিন-চার বার ঐ বড়িটা জলের সঙ্গে খান। জ্বর খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।
কাশি যদি না কমে সেই ক্ষেত্রে তুলসী পাতা এবং আদা পিষে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খান এতে উপকার পাবেন। শরীরের কোন অংশ যদি পুড়ে যায় তাহলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগান এতে জ্বালা কমবে। পোড়া জায়গাটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে সেখানে কোন দাগ থাকবে না।
ত্বকের চমক বাড়ানোর জন্য এছাড়া ত্বকের বলীরেখা এবং ব্রন দূর করার জন্য তুলসী পাতা পিষে মুখে লাগান। চর্মরোগে তুলসী পাতা দূর্বাঘাসের ডগার সংগে বেটে মাখলে ভালো হয়ে যায়। ডায়রিয়া হলে 10 থেকে 12 পাতা পিষে রস খেয়ে ফেলুন।
যদি কখনও বমি কিংবা মাথা ঘোরা শুরু করে , তাহলে তুলসী রসের মধ্যে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। সকালবেলা খালি পেটে তুলসী পাতা চিবিয়ে রস পান করলে খাবার রুচী বাড়ে। নিয়মিত তুলসীর রস পানে হৃদরোগেও উপকার পাওয়া যায়। চোখের সমস্যা দূর করতে রাতে কয়েকটি তুলসী পাতা ভিজিয়ে রেখে ওই পানি দিয়ে সকালে চোখ ধুয়ে ফেলুন। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দিনে 4-5 বার তুলসী পাতা চেবান।
ঘা যদি দ্রুত কমাতে চান তাহলে তুলসী পাতা এবং ফিটকিরি একসঙ্গে পিষে ঘা এর স্থানে লাগান, কমে যাবে। বুদ্ধি এবং স্মরণশক্তি বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন 5-7 টা তুলসী পাতা চিবান। প্রসাবে জ্বালা হলে তুলসী পাতার রস 250গ্রাম দুধ এবং 150 গ্রাম জলের মধ্যে মিশিয়ে পান করুন উপকার পাবেন।ত্বকের সমস্যা দূর করতে তিল তেলের মধ্যে তুলসী পাতা ফেলে হালকা গরম করে ত্বকে লাগান।
তুলসী মূল শুক্র গাঢ় কারক। তুলসী পাতার ক্বাথ,এলাচ গুঁড়া এবং এক তোলা পরিমাণ মিছরী পান করলে ধাতুপুষ্টি সাধিত হয় যতদিন সম্ভব খাওয়া যায়। এটি অত্যন্ত ইন্দ্রিয় উত্তেজক । প্রতিদিন এক ইঞ্চি পরিমাণ তুলসী গাছের শিকড় পানের ষাথে খেলে যৌনদূর্বলতা রোগ সেরে যায়।
কোন কারনে রক্ত দূষিত হলে কাল তুলসি পাতার রস কিছুদিন খেলে উপকার পাওয়া যায়। শেষ্মার জন্য নাক বন্ধ হয়ে কোন েগন্ধ পাওয়া না গেলে সে সময় শুষ্ক পাতা চূণের নস্যি নিলে সেরে যায়। পাতাচূর্ণ দুই আঙ্গলের চিমটি দিয়ে ধরে নাক দিয়ে টানতে হয়, সেটাই নস্যি। তুলসী পাতা দিয়ে চায়ের মত করে খেলে দীর্ঘদিন সুস্থ থাকা যায়। তুলসী চা হিসাবে এটি বেশ জনপ্রিয়। তুলসী পাতার রসে লবন মিশিয়ে দাদে লাগালে উপশম হয়।
তুলসীর বীজ পানিতে ভিজালে পিচ্ছিল হয়। এই পানিতে চিনি মিশিয়ে শরবতের মত করে খেলে প্রস্রাব জনিত জ্বালা যন্ত্রনায় বিশেষ উপকার হয় এছাড়া ও তুলসী পাতার রস 250 গ্রাম দুধ এবং 150 গ্রাম জলের মধ্যে মিশিয়ে পান করুন। মুখে বসন্তের কাল দাগে তুলসীর রস মাখলে ঐ দাগ মিলিয়ে যায়। হামের পর যে সব শিশুর মরীরে কালো দাগ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে তুলসী পাতার রস মাখলে গায়ে স্বাভাবিক রং ফিরে আসে।
1 মন্তব্য(গুলি):
Nice Collection
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন