মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ও সৌন্দর্য্যে সেবায় এবং দেশের বেকার জনগোষ্ঠীর একমাত্র কর্মসংস্থান তৈরি একটি এক্সিলেন্ট ওয়ার্ল্ড প্রতিষ্ঠান।চমৎকার বিশ্ব, অনলাইন আয়ের উৎস, স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য, অনলাইন চাকরি, খণ্ডকালীন কাজ, ডিজিটাল মার্কেটিং, অনলাইন মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, Excellent World, Online income source, health and beauty, Online job, Part time work, Digital marketing, online marketing, Affiliate Marketing,

Health and Beauty

Excellent world

শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৩

ঔষধ ব্যবহারের আগে কয়েকটি বিষয় লক্ষনীয়-few things to note before using the medicine



ঔষধ ব্যবহারের আগে কয়েকটি বিষয় লক্ষনীয়:-

কোন অসুস্থ ব্যক্তি স্বেচ্ছায় কোন ওধুধের দোকানে গিয়ে নিজের ধারণা বা অনুমানমত ওষুধ কেনা কখনও উচিত নয় । যদি কেউ এ ধরনের অনুচিত কাজ করেন তাহলে এর শারীরিক ক্ষতি ও পরিণাম ভয়াবহ। 

এছাড়াও যে ফার্মাসিস্ট ওষুধের দোকানে কাজ করেন তারও উচিত নয় কোন রোগী/ ব্যক্তি প্রেশক্রিপশন ছাড়া কোন ওষুধ যেমন হার্টের ওষুধ , এন্টিবায়োটিক ইত্যাদি ক্রয় করতে এল সহযোগিতা করা। এগুলো ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বিক্রয় করা থেকে একমাত্র ডাক্তার সাহরই যেকোন রোগের কারণ বুঝতে পারেন এবং রোগের ধরন অনুযায়ী ওষুধ নির্ধারণ করতে পারেন। আইনহদভাবে ডাক্তারা হচ্ছেন একমাত্র স্বীকৃত পেশাজীবী যারা রোগ নির্ণয় ও ওষুধের নাম মাত্রা ও ব্যবহারের মেয়াদ নির্ধারণ করে থাকেন। অন্যদিকে ফার্মাসিস্টদের কাজ হচ্ছে কোন ব্যক্তি প্রেশক্রিপশন নিয়ে দোকানে উপস্থিত হলে মান সম্পন্ন ওষুধ, ওষুধ খাওযার নিয়মাবলি, ওষুধ সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে রোগীকে বিশদ ধারণা দিয়ে রোগীকে সাহায্যে করা। উদাহরণস্বরূপ, জন্ডিসের সময় কেউ প্যারাসিটামল গ্রহন করলে তা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে, কিংবা ভিটামিন-সি বেশি করে খেলে উপকারের বদলে অপকারই বেশি। 


রোগ নিরাময় অথবা উপশমের জন্য যেসব রাসায়নিক যৌগ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা হয় তাকে ওষুধ বলে। ওষুধ হচ্ছে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক যৌগ। ওষুধের ব্যবহার নির্ভর করে ডাক্তার , রোগী ও ফার্মাসিস্টের সম্পর্কের উপর। অথার্ৎ একজন মানুষ অসুস্থাতাবোধ করলে প্রথমে দেখা করবেন ডাক্তারের সাথে। রোগীর অসুস্থতার কারণ অথার্ৎ রোগ নির্ণয় এবং এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপত্র লিখবেন ডাক্তার। উক্ত ব্যবস্থাপত্রে কোন্ কোন্ ওষুধ ডোজ, দিনে কয় বার, কত দিন ধরে ব্যবহার করতে হবে- সেগুলো ডাক্তার সাহেব লিখে দেবেন।  এছাড়াও তিনি পথ্য নির্দেশনা কখনও ব্যবস্থাপত্রে লিখে অথবা মৌখিকভাবে বলে দেবেন। 


ডাক্তার সাহেব রোগীর জন্য ব্যবস্থাপত্র লেখার পূর্বে রোগীর বয়স, ওজন রোগীর মূল সমস্যাগুলি, রোগের ইতিহাস ইত্যাদি বিষয় জেনে নেন। ওষুধের পরিমান (ডোজ) নির্ণয়ের জন্য রোগীর বয়স ও ওজন জানা অত্যাবশূক। কারণ, বয়সের তারতম্যের / পার্থক্যের উপর ওষুধের পরিমান নির্ধারিত হয়। 


ওষুধের সঠিক ব্যবহারঃ-

কোন ব্যক্তি অসুস্থাতাবোধ করা মাত্র ডাক্তারের পরামর্শ  বা প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী কোন ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ ক্রয় ও নির্দিষ্ট সময় মেনে ওষুধ ও পথ্য খাওয়া এবং ডাক্তার নির্দেশিত দিন পর্যন্ত ওষুধ খেতে বাধ্য থাকাকে ওষুধের সঠিক ব্যবহার বলে। যেমন, একজন পূর্ন বষষ্ক ব্যক্তির (১৮বছর বা অধিক) কোন ধরনের সংক্রমণ হলে ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী এমপিসিলিন ( ৫০০ মি.গ্রা:) ৮ ঘন্টা অন্তর অন্তর দিনে ৩ বার করে ৭ দিন খেতে হবে। 

রোগীর এ ধরনের ভুল প্রায়শ হয়ে থাকে। এই ভুলগুলো রোধ করে ফার্মাসিস্টের দায়িত্ব। ফার্মাসিস্টরা হচ্ছেন ওষুধ বিশেষজ্ঞ বা ড্রাগ এক্সপার্ট যিনি ওষুধের ব্যবহার সম্পর্কে ভাল জ্ঞান রাখেন। ওষুধের অপব্যবহারের কারণসমূহ :- 

(১) প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ ক্রয়/বিক্রয় করলে, যেমন:  এন্টিবায়োটিক জাতীয় সব ওষুধ, হার্টের ওষুধ, কিডণি রোগের ওষুধ ইত্যাদি; 

(২) প্রেসক্রিপশনে বর্ণিত ওষুধের মাত্রা অনুযায়ী না খেলে ওষুধের অপব্যবহার হবে; 

(৩) প্রেসক্রিপশনে বর্ণিত ওষুধের মাত্রা অনুযায়ী না খেলে ওষুধের অপব্যবহার হবে; ওষুধ যথার্থভাবে শরীর কাজ করবে না এবং নতুন জটিলতার সৃষ্টি করবে; 

(৪) প্রেসক্রিপশনে বর্ণিত ও নির্দেশিত দিন পর্যন্ত ওষুধ না খেলে ওষধের অপব্যবহার হবে। 


ওষুধের সঠিক ব্যবহারে ফার্মাষিস্টের দায়িত্ব ও কর্তব্য:-

>> প্রথমে প্রেসক্রিপশনটি নির্ভূলভাবে পড়তে ও বুঝতে হবে; 

>> ওষুধের নাম, ওষুধের ধরন (Dosage Form), ওষুধের মাত্রা (Dose), কতবার খেতে হবে (Doses Frequency), এবং কতদিন (Course) তা পড়ে দেখতে হবে; 

>> প্রেসক্রিপশনে কোন পথ্য নির্দেশনা আছে কিনা তা পড়ে দেখতে হবে;

>> কোন এন্টিবায়োটিকের নাম লেখা আছে কিনা দেখতে হবে;

>> কোন জটিল রোগ যেমন: ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি রোগের ওষুধের নাম আছে কিনা দেখতে হবে; 

>> কোন্ ধরণের রোগী যেমন: শিশু, কিশোর, প্রাপ্তবয়স্ক, বয়োজেষ্ঠ ইত্যাদি বিবেচনা করতে হবে।