মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ও সৌন্দর্য্যে সেবায় এবং দেশের বেকার জনগোষ্ঠীর একমাত্র কর্মসংস্থান তৈরি একটি এক্সিলেন্ট ওয়ার্ল্ড প্রতিষ্ঠান।চমৎকার বিশ্ব, অনলাইন আয়ের উৎস, স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য, অনলাইন চাকরি, খণ্ডকালীন কাজ, ডিজিটাল মার্কেটিং, অনলাইন মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, Excellent World, Online income source, health and beauty, Online job, Part time work, Digital marketing, online marketing, Affiliate Marketing,
পুদিনা একটি সাধারণ আগাছা ধরনের গাছ। কান্ড ও পাতা বেশ নরম। কান্ডের রঙ বেগুনি, পাতার রঙ সবুজ। ছোট গুল্ম জাতীয় এই গাছের পাতা ডিম্বাকার, পাতার কিনারা খাজকাচা ও সুগন্ধীযুক্ত হয়। পাতা কিচুটা রোমশ ও মিন্টের তীব্র গন্ধযুক্ত। পুদিনা পাতার মূল, পাতা , কান্ড সহ সমগ্র গাছই ঔষধীগুনে পরিপূর্ণ। বিশেবর অনেক দেশেই পুদিনার গাছ জম্নে। এর পাতা সুগন্ধি হিসাবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য স্থানীয় নামঃ Mint, Nana. বৈজ্ঞানিক নামঃ Mentha, Spicata. এটি Lamiaceae.
পুদিনা পাতা রস
পুদিনা পাতার গুনাগুণ:
1। গরমে ত্বকের জ্বালাপোড়া ও ফুসকুরি সমস্যায় কয়েকটি পুদিনার পাতা চটকে গোসলের পানিতে মিশিয়ে গোসল করলে ভালো কাজ হয়। 2। মুখের দুর্গন্ধ দুর করতে পুদিনা পাতা পানির সাথে মিশিয়ে কুলি করুন উপকার পাবেন। 3। পুদিনা পাতা হজম শক্তি বাড়ায়, মুখের অরুচি ও গ্রাসের সমস্যা দুর করে, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও শরীর ঠান্ডা রাখে। 4। পুদিনা ত্বকের যে কোনো সংক্রমণকে ঠেকাতে অ্যান্ডিবায়োটিকের কাজ করে। শুকনো পুদিনা পাতা ফুটিয়ে পুদিনার পানি তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিন। এক বালতি পানিতে দশ থেকে পনেরো চামচ পুদিনার পানি মিশিয়ে গোসল করুন। এর ফলে গরমকালে শরীরে ব্যাকটেরিয়া জনিত বিশ্রী দুর্গন্ধের হাত থেকে রেহাই পাবেন, কেননা পুদিনার অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট গুন অতুলনীয়। ঘামাচি, অ্যালার্জিও হবে না। 5। পুদিনা পাতার রস তাৎক্ষনিক ব্যথানাশক উপাদান হিসেবে কাজ করে। পুদিনা পাতার রস চামড়ার ভেতর দিয়ে নার্ভে শান্ত করতে সহায়তা করে। তাই মাথা ব্যাখা বা জয়েন্টে উপশমে পুদিনা পাতা ব্যবহার করা যায়।মাথা ব্যথা হলে পুদিনা পাতার চা পান করতে পারেন অথবা তাজা কিছু পুদনিা পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। জয়েন্টে ব্যথায় পুদিনা পাতা বেটে প্রলেপ দিতে পারেন। 6। পুদিনা পাতার চা শরীরের ব্যাথা দুর করতে খুবিই উপকারি। 7। মাইগ্রেনের ব্যাথা দুর করতে নাকের কাছে টাটকা পুদিনা পাতা ধরুন। এর গন্ধ মাথাব্যাথা সারতে খুবই উপকারি। 8। কোন ব্যাক্তি হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে গেলে তার নাকের কাছে পুদিনা পাতা ধরুন। সেন্স ফিরে আসবে। 9। অনবরত হেচকি উঠলে পুদিনা পাতার সাথে গোলমরিচ পিষে ছেকে নিয়ে রসটুকু পান করুন। কিছিুক্ষনের মধ্যেই হেচকি বন্ধ হয়ে যাবে। 10। গোলাপ, পুদিনা , আমলা, বাঁধাকপি, ও শশার নির্যাস একসঙ্গে মিশিয়ে টোনার তৈরি করে মুখে লাগালে তা ত্বককে মসৃণ করে তোলে । 11। পুদিনা পাতায় রয়েছে অ্যান্টিাঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টসের চমৎকারী গুনাগুন যা পেটের যে কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারে খৃব দ্রুত । যারা হজমের সমস্যা এবং পেটের ব্যাথা বিংবা পেটের অন্যান্য সমস্যায় ভুগে থাকেন তারা খাবার পর এককাপ পুদিনা পাতার চা খাওয়ার অভ্যাস করুন। 6 / 7 টি তাজা পুদিনা পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে খুব সহজে পুদিনা পাতার চা তৈরি করতে পারেন ঘরে। 12। পুদিনাপাতা পুড়িয়ে ছাই দিয়ে মাজন বানিয়ে দাঁত মাজলে মাড়ি থাকবে সুস্থ, দাঁত হবে শক্ত ও মজবুত।
14। তাৎক্ষনিক ভাবে ক্লান্তি দুর করতে পুদিনা পাতার রস ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে খাবেন। ক্লান্তি নিমিষেই দুর হয়ে যাবে।
15।কফ দুর করতে পুদিনা পাতার রস, তুলসী পাতার রস, আদার রস ও মধু একসাথে মিশিয়ে খান। পুরোনো কফ দুর করতেও এই মিশ্রণ অতুলনীয়।
16। সুস্থ হার্টের জন্য পুদিনা পাতা অনেক উপকারী। এটি রক্তে কলেস্টরেল জমতে বাধা প্রদান করে। ফলে হার্ট থাকে সুস্থ।
17। যেকোন কারণে পেটে গ্যাস জমে গেলে পুদিনা পাতা কার্যকরী ভুমিকা পালন করে। পুদিনার রস ২ চা চামচ , সামান্য লবন, কাগজী লেবুর রস 8/10 ফোটাঁ , হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে সারাদিন 2-3 বার খেলে পেটে গ্যাস ভাব কমে আসে।
18। পিত্তে শেষ্মার জ্বর, অম্লপিত্ত, আমাশা, অজীর্ণ , উদরশূল , প্রভৃতির কারনে অনেক সময় আমাদের বমি বমি ভাব আসে। এসময় পুদিনার শরবতের সাথে এক চা চামচ তেতুঁল মাড় ও চিনি মিশিয়ে খেলে বমিভাব দূর হয়ে যায়।
19। পুদিনা পাতার রস উচ্চ রক্তপাপ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত পুদিনা পাতার রস খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন খাকে।
EXCELLENT
পুদিনা চা
শ্বাস কষ্ট, কফ-কাশি দুর করতে ধুমপানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত পান করুনএক্সিলেন্ট পুদিনা চা।
উপাদান: পুদিনা, স্টেভিয়া, আদা, লেমন, ও অন্যান্য উপকরন। কার্যকারিতা: ০১. কোলস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ক্লান্তি নিবারণ হয়। ০২. মাথা, শরীর , পেটের ব্যাথা উপশম করে, শরীরের চামড়াকে টানটান করে সতেজ রাখে। ০৩. পলিফেনন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফ্লোরাইড থাকে দাঁতের ক্ষয়রোধ ও মাড়ির সমস্যা দূর করে। ০৪. মেন্থল শীতকারীন ঠান্ডজনিত কফ-কাশি বের হওয়া ও এডিনো ভাইরাস বিস্তার রোধ করে। ০৫. মুখের স্বাদ বৃদ্ধি ও ত্বকের ব্রণ দূর করতে সহায়তা করে। ০৬. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ইনফ্লামেটরি ত্বককে শীতল করে চামড়ার চুলকানি ও নিঃশ্বাসের র্দূগন্ধ দূর করে। ০৭. অ্যান্টি এইজং টক্সিন দূর করে, নারীদের ওভারিতে ক্যান্সার কোষগুলো ধ্বংস করে। ০৮. পুদিনা মেয়েদের রক্তশূন্যতা পূরণ করে।
চা তৈরির নিয়মঃ ফুটন্ত গরম ১ কাপ পানির মধ্যে ১ টি ব্যাগ রেখে ১-২ মিনিট নাড়ানাড়া করুন। প্রয়োজনমত চিনি অথবা মধু মিশান। টি ব্যাগ যত বেশী সময় গরম পানির কাপে থাকবে ততবেশী গুণাগুণ বৃদ্ধি পাবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন